• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিন দেশে ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম একান্ত বৈঠক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৭, ২০১৭, ০৯:১৮ পিএম
ভিন দেশে ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম একান্ত বৈঠক

প্রথমবারের মতো একান্ত বৈঠকে ট্রাম্প-পুতিন

ঢাকা: ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও অন্যতম মিত্র পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হয়নি ট্রাম্পের। কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ফলাফল প্রভাবিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডন্টে পুতিন। তাও আবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। বিষয়টি এখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তদন্ত করছে। তাই দীর্ঘ দিন পরে নিজ নিজ দেশে না হলেও ভিন দেশ জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হলো ট্রাম্প ও পুতিরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

শুক্রবার(৭ জুলাই) জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এখানেই প্রথম সাক্ষাতে করমর্দন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলনের প্রথম দিনেই দু’নেতা প্রাথমিক একটি বৈঠক করেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পরবর্তীতে আরো আরেকটি বৈঠক করবেন তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাদের সকল আলোচনায় স্থান পাবে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ইউক্রেইন ও সিরিয়া সংকট।

অপরদিকে জি-২০ সম্মেলন চলাকালেই বাইরে রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। এবারের জি-২০ সম্মেলনে আলোচনায় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্য ইস্যু। গত জানুয়ারি এবং মে মাসে পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের পর ক্রেমলিন এবং হোয়াইট হাউজ থেকে তাদের বক্তব্যের সারাংশ প্রকাশ করা হয়েছিল।

এবারের জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে দুই নেতা প্রধান কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিজেদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদদাতারা। এর আগে জার্মানি সফরের প্রাক্কালে পোল্যান্ড সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেইনকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ করেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি রাশিয়াকে দায়িত্বশীল দেশগুলোর সারিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

জার্মানির হান্ডেসব্লাট পত্রিকায় জি-২০ সম্মেলনের আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করে পুতিন রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের বিরুদ্ধে আরোপিত মার্কিন-নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান। পুতিনও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পক্ষে যুক্তি দেখান এবং এর বাস্তবায়নে পুরোপুরি অবদান রাখতে চান। ওদিকে, সিরিয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটন কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, মস্কো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান মিত্র। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে মতানৈক্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ না হয়, তাই হতে পারে দু’নেতার সফলতা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!