• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েতনামের বিপক্ষে আসল পরীক্ষা মারিয়া-আঁখিদের


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮, ০৮:২৯ পিএম
ভিয়েতনামের বিপক্ষে আসল পরীক্ষা মারিয়া-আঁখিদের

ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এফ গ্রুপের বাছাইপর্বে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের মেয়েরা। ইতোমধ্যেই টানা তিন ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। এই তিন ম্যাচে কোনও গোল হজম না করে প্রতিপক্ষের জালে ২৫বার বল পাঠিয়েছে মারিয়া মান্দার দল।

বাংলাদেশ দল তাদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে হারায় ১০-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে জয় পায় ৮-০ ব্যবধানে। আর তৃতীয় ম্যাচে অনুচিং মোগিনির হ্যাটট্রিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় ৭-০ ব্যবধানে।

অন্যদিকে ভিয়েতনাম প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় ৪-০ ব্যবধানে। পরের ম্যাচে বাহরাইনকে হারায় ১৪-০ গোলে। আর শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ভিয়েতনাম জয় পায় ৭-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৯, ভিয়েতনামেরও ৯। গোল ব্যবধান বাংলাদেশের ২৫। ভিয়েতনামেরও সমান ২৫।

‘এফ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) শক্তিশালী ভিয়েতনামের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বিকাল সাড়ে ৩টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। দুই দলের পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান হওয়ায় এই ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।

বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডে যেতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা পরের রাউন্ডে যাবে। রানার্স-আপ হওয়া দলেরও সুযোগ থাকবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার। তবে তাদেরকে সেরা দুই রানার্স-আপ দলের মধ্যে থাকতে হবে। তাই জয়ের জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, ‘ভিয়েতনাম প্রতিপক্ষ হিসেবে বেশ শক্তিশালী। তারা আগের তিনটি ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে। আগামীকাল আমাদের সামনে জয়ের কোন বিকল্প নেই। সেরা দুই রানার্সআপ হিসেবে পরের পর্বে খেলার যে সুযোগটা আছে আমরা সেদিকে তাকাচ্ছি না। মেয়েদেরকে নির্ভার থেকে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা  খেলার পরামর্শ দিয়েছি। সুযোগ আসলে সেটা কাজে লাগাবে তারা। আশা করি আমরা ভালো একটা রেজাল্ট দিতে পারব।’

এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যাবে এফ গ্রুপের বাছাইপর্ব। লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল সুযোগ পাবে পরবর্তী বাছাইপর্ব খেলার। এবারের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়া ছয় গ্রুপের শীর্ষ ছয় দল ও সেরা দুই রানার্স-আপ দল নিয়ে হবে আরেক বাছাই। সেখান আটটি দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

দুই গ্রুপ থেকে সেরা চারটি দল সুযোগ পাবে চূড়ান্তপর্বে খেলার। আগেই চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে রেখেছে আয়োজক থাইল্যান্ড, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্স-আপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান।

২০১৬ সালে বাংলাদেশে হয়েছিল এএফসির বাছাইপর্ব। সেবার বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিয়েছিল। অবশ্য থাইল্যান্ডে চূড়ান্তপর্বে আট দলের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!