• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুল করেও যে ৫ মেসেজ পাঠাবেন না হোয়াটস অ্যাপে


প্রযুক্তি ডেস্ক জুন ১৩, ২০১৬, ১০:৩২ এএম
ভুল করেও যে ৫ মেসেজ পাঠাবেন না হোয়াটস অ্যাপে

বর্তমানে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজিং সার্ভিস অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রায় সকলেই এই মেসেজিং সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন আজকাল। নানা ধরনের মেসেজ বিনিময় হয়ে থাকে হোয়াটস অ্যাপে। তার মধ্যে বিশেষ কিছু ধরনের মেসেজ হোয়াটস অ্যাপে না পাঠানোই ভাল। কীরকম? আসুন, জেনে নিই─

১. গুড মর্নিং মেসেজ
কোনও বাচ্চা, একগুচ্ছ ফুল বা টেডি বেয়ারের ছবি দেওয়া গুড মর্নিং মেসেজ পাঠানোর সার্থকতাটা কী? ভেবে দেখুন, যাকে আপনি এই মেসেজ পাঠাচ্ছেন তিনি কিন্তু এই একই ধরনের মেসেজ আরও কুড়ি-বাইশ জনের কাছ থেকে পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনার এই মেসেজ কি তার কাছে আলাদা কোনও অর্থ বহন করে আদৌ? না, বরং তার বিরক্তিই উৎপাদন করে। কাজেই যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, সে বিশেষ কোনও নিকটজন না হলে গণ হারে গুড মর্নিং মেসেজ পাঠাবেন না। 

২. বীভৎস ভিডিও মেসেজ
কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর লোকেরা কারোর মাথা কেটে ফেলছে, কেউ গাড়ি চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে, কিংবা অজগর এসে কোনও সুন্দরীকে গিলে ফেলছে─এই ধরনের বীভৎস হিংসাত্মক ভিডিও কাউকে পাঠানোর মানে হয় কি কোনও? ভেবে দেখুন, কোনও সুস্থ মানুষ কি এই জাতীয় ভিডিও দেখে কি একটুও মজা পেতে পারে! কাজেই, এইসব মেসেজও বাদ। 

৩. ভয় পাওয়ানো ভিডিও
হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ এলো। আপনি দেখলেন, একটি ছবি পাঠিয়েছে কেউ। কিন্তু কিছুই দেখা যাচ্ছে না তাতে। যেই ক্লিক করলেন ছবিটিতে, দেখলেন হাঁউ মাউ করে ভেসে উঠল কোনও রাক্ষসের মুখ। আপনার নিজের কি খুব ভাল লাগে এই ধরনের ভয় পাওয়ানো মেসেজ পেতে? সম্ভবত লাগে না। আর যদি লাগেও তাহলেও এই সব মেসেজ দয়া করে অন্যদের ফরোয়ার্ড করবেন না। কারণ আপনার জানা উচিৎ, এই ধরনের মেসেজ পেতে অধিকাংশ মানুষেরই মোটেই ভাল লাগে না, আর যারা একটু নরম মনের তাঁদের মনে এই জাতীয় মেসেজের খুব খারাপ প্রভাবও পড়ে।

৪. নিজের সম্পর্কে মতামত চাওয়া মেসেজ
মেসেজের শুরুতেই একটি প্রশ্ন─‘‘আমার সম্পর্কে কোন বিষয়টি তোমার সবচেয়ে ভাল লাগে’’, বা এই ধরনেরই কিছু। তলায় আট-দশটা অপশন─‘আমার নাক’, ‘আমার চোখ’, ‘আমার হাসি’, ‘আমার কথা বলা’ ইত্যাদি। নিজের সম্পর্কে বন্ধুদের সঙ্গে এই কুইজ কনটেস্ট খেলার সত্যিই কি প্রয়োজন আছে কিছু? ভেবে দেখু‌ন, অন্যদের মতামতের উপর আপনার নির্ভর করা মানে কি এক অর্থে আত্মবিশ্বাসের অভাব নয়? কাজেই, এই জাতীয় মেসেজও না পাঠানোই ভাল।

৫. গুজব ছড়ানো মেসেজ
এই জাতীয় মেসেজ সবচেয়ে বিপজ্জনক। ‘‘টালা ট্যাঙ্কের পানীয় জলে ২০০ গ্যালন অ্যাসিড মিশে গিয়েছে, কেউ জল খাবেন না’’, বা ‘‘আগামী আধ ঘন্টার মধ্যেই প্রবল ভূমিকম্পে গোটা কলকাতা তলিয়ে যাবে মাটির তলায়’’─ এই জাতীয় আজগুবি মেসেজ কারোর কাছ থেকে পাওয়া মাত্রই, সেটার সত্যাসত্য বিচার না করে, আপনি যদি ১০০ জনকে ফরোয়ার্ড করে দেন মেসেজটা, তাহলে লোকের মনে কী অকারণ আতঙ্ক তৈরি করা হয়, ভাবুন তো একবার। কাজেই, এই জাতীয় কোনও মেসেজ পেলে নিউজ চ্যানেল বা ইন্টারনেট থেকে খবরটার সত্যতা যাচাই করে নিন একবার। যদি দেখেন খবরটা মিথ্যে, তাহলে সোজা ডিলিট করে দিন মেসেজটি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!