• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বাছাই নয়


শরীয়তপুর প্রতিনিধি মে ১৭, ২০১৭, ০২:৩১ পিএম
ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বাছাই নয়

শরীয়তপুর: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে বাছাই কমিটি গঠন পূর্বক স্বল্প সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই করার লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা ১টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার চৌরঙ্গীর মোড় এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদারসহ মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের নয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে বাছাই কমিটি গঠন পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যাচাই বাছাই সম্পন্ন করতে হবে। যাদের কারণে যাচাই বাছাই হয়নি তাদেরকে ধিক্কার ও নিন্দা জানান তারা। পাশাপাশি শরীয়তপুর সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের দ্রুত দিন ধার্য করে বাছাই সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

তারা জানান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার এম এ ছাত্তার খান মুক্তিযুদ্ধের কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি, তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি এবং কোন অস্ত্রও জমা দেননি। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর’৭১ বিজয় দিবস পর্যন্ত পালং থানার কোন এলাকায় তিনি ছিলেন না। তারপরেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং তদবীর করে ইতোপূর্বকার মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই এর সময় তার বড় ভাই আব্দুল মান্নান খানের নাম মুক্তিযাদ্ধা হিসেবে লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

তার দুই ভাইয়ের কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয়। আমারা ইতোমধ্যে শরীয়তপুর জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে জাকুয়ার মহা-পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জাকুয়ার সদস্য ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল হাওলাদার, সহকারি কমান্ডার আলীম উদ্দিন শেখ, মীর্জা ইউনুস আলী, সংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন মাষ্টার, শেখ গিয়াস উদ্দিন, আবুল কাশেম মোল্যা, মাষ্টার হাবিবুর রহমান, মোহর উদ্দিন, সেকেন্দার হাওলাদার, মোতাহার দেওয়ান, আলী হোসেন খান, হাফিজ পেদা, মজিদ ছৈয়াল, সামসুল হক মুন্সী প্রমূখ উপস্তিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুর সদর উপজেলার গত ২০ জানুয়ারি শনিবার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার এম এ ছাত্তার খানসহ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম কমিটির চারজন উপস্থিত না থাকায় বাছাই কার্যক্রম বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!