• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভুয়া কাবিননামা, জিডি করলেন কাজী আনোয়ার!


বিশেষ প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৪, ২০১৭, ১২:১৩ এএম
ভুয়া কাবিননামা, জিডি করলেন কাজী আনোয়ার!

ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক দাবি করে নাসরিন সুলতানার আদালতে দাখিল করা কাবিননামায় কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) কাবিনের কপি নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান গেলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

নাসরিনের দাখিল করা কাবিননামা অনুযায়ী, মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী অফিসের ঠিকানা লেখা হয়েছে, ‌‌‘২০/সি মেরাদিয়া, খিলগাঁও, ঢাকা।’ কিন্তু বাস্তবে এই ঠিকানায় গিয়ে কোনো কাজী অফিসের সন্ধান মেলেনি। তবে উক্ত ঠিকানায় ভাই ভাই নামে একটি গোশতের দোকান পাওয়া গেছে।

তবে ওই এলাকায় একটি কাজী অফিস আছে। সেটি ২০/১ নম্বর মেরাদিয়ায়। ভাই ভাই গোশতের দোকান থেকে প্রায় দুই মিনিট হেঁটে ২০/১ নম্বর বাসায় গিয়ে একটি কাজী অফিস পাওয়া যায়। সেই কাজীর নাম হাফেজ মাওলানা ছলিম উল্লাহ খান। এলাকার একমাত্র কাজী তিনি। কিন্তু সানির ‘সাবেক স্ত্রী’র দেয়া কাজীর নামের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। আদালতে দাখিল করা নাসরিনের কাবিননামায় কাজী ছিলেন আনোয়ার হোসেন।

অনুসন্ধানের একপর্যায়ে উঠে আসে, আনোয়ার হোসেন নামে একজন কাজী আছেন গোড়ানে। পরে খিলগাঁওয়ের ৬৫ নম্বর উত্তর গোড়ান এলাকায় গিয়ে আনোয়ার হোসেন নামে একজন কাজীর সাক্ষাৎ মেলে। 

কাজী আনোয়ার হোসেন (বকুল) সানি-নাসরিনের কাবিননামা দেখানো হলে তিনি বলেন, ‘আরাফাত সানি নামে কেউ আমার কাজী অফিসে এসে বিয়ে করেননি। আর কাবিননামায় যে ভলিউম ও পৃষ্ঠা নম্বর রয়েছে, তার কোনোটিই সঠিক নয়। কারণ, আমার কাছে যে বই রয়েছে, তাতে এমন কোনো কিছু নেই। আর কাবিননামায় যে সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও আমার নয়।’ প্রমাণস্বরূপ আনোয়ার হোসেন নিজের সিল ও স্বাক্ষর করে দেখিয়ে দেন। 

এই কাজির অফিসের সামনে যে সাইনবোর্ড রয়েছে তাতেও নাসরিন সুলতানার আদালতে দাখিল করা কাবিননামার সঙ্গে কোনো মিল নেই।  

এ বিষয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাঁর সিল ও স্বাক্ষর জাল করে অনেক ব্যক্তি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে আসছে। এ কারণে তিনি খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এই বলে সেই জিডির কপি দেখান আনোয়ার হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘এমন কাজ অনেক মানুষ করে থাকে। তবে আমার মনে হয় উকিলরা কোর্টে যে ম্যারেজ সার্টিফিকেট তৈরি করে, তারাই এই রকম ভুয়া কাবিননামা তৈরি করতে পারে। এখন আমার মতে, যে ছেলের নামের এই ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেছে, তিনি চাইলে মামলা করতে পারেন। তখন বোঝা যাবে যে আসলে কারা টাকার বিনিময়ে এই সব কাজ করে থাকেন।’

রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আমিনবাজার থেকে ওই তরুণীর করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালত তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!