• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভোটার দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত ইসির


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৯, ২০১৭, ০১:১২ পিএম
‘ভোটার দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত ইসির

ঢাকা : ভোটার হতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে বছরের একটি দিনকে ভোটার দিবস পালনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ১৩তম নির্বাচন কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

কমিশন সভা শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বছরে একদিন ভোটার দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে ভোটার হওয়ার যোগ্যরা ভোটার হতে আগ্রহী হয়। বিশ্বের অনেক দেশে ভোটার দিবস পালন হয়।’ কমিশন সভায় এ নিয়ে দিন-তারিখ ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।

যে কোনো দিবস ঘোষণায় সরকারের সায় নিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা অনুমোদনের পর দিবসটি পালন ও উদযাপনের সুবিধার্থে গুরুত্ব বিবেচনায় ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির যে কোনো একটি ভুক্ত হলে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জাতীয়ভাবে কীভাবে উদযাপন করা হবে, সরকারের পক্ষ থেকে বাজেট কতটুকু বরাদ্দ দেয়া হবে, তা বিবেচনায় যে কোনো একটিতে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। যেমন- বিজয়, স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত।

গেল আগস্টে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে ২ ফেব্রুয়ারিকে।

সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘ন্যাশনাল আইসিটি ডে’ বা ‘জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
‘খ’ ক্যাটাগরির দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হবে জানিয়ে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মূলত খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো হয় ‘ক’ ক্যাটাগরির।

এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, বছরের একটি দিন ভোটার দিবস হিসেবে পালিত হলে তা ভোটার যোগ্য তরুণদের ভোটার হতে উদ্ধুদ্ধ করতে পারে। এজন্য প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরুর দিন বা নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার দিনটিকে ভোটার দিবস ঘোষণা করা যেতে পারে বলে ভাষ্য তাদের।

নারী ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসা বেসরকারি সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্র“পের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আব্দুল আলীম বলেন, “আমরা বারবার ভোটার দিবস পালনে উদ্যোগী হওয়ার দাবি করে এসেছি। ভোটার তালিকা একটা নির্দিষ্ট তারিখে হালনাগাদ করা হয়; নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সেই দিনকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব রেখেছি।

প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয় তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে হালনাগাদের কাজ করে নির্বাচন কমিশন। ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়ে ইসির সুবিধাজনক হালনাগাদ কর্মসূচির বাইরেও ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে নিয়মিত কার্যক্রম চলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে।

২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে ইসি। এরপর থেকে ভোটারযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে হালনাগাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কর্মসূচিও নেয় কমিশন। কোনো কোনো সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েও হালনাগাদ কাজ করা হয়েছে।

ভোটার তালিকা আইন-বিধি অনুযায়ী, ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।

তবে নির্বাচন থাকলে কমিশন হালনাগাদের সময়ও পরিবর্তন করে জানিয়ে ইডব্লিউজি পরিচালক বলেন, ২০০৮ সালের পর ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হালনাগাদ হয়েছে। নাগরিকরাও বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকে না। ভোটার দিবস পালনে ইসির উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক। অনেকে ভোটার হতে চান, কিন্তু ইসি ঘোষিত সময়ে তথ্য দিতে পারে না। তারা কনফিউজড থাকে কখন হালনাগাদ হবে। এখন একটি দিনকে বাছাই করা হলে ভোটারযোগ্যরা ভাববে ওই দিনটা আমার, ভোটার হতে তারাই সচেতন হবে।

আব্দুল আলীম বলেন, ভারতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার দিনটি ভোটার দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনেরও প্রতিষ্ঠাসহ নির্বাচনী অনেক স্মৃতি রয়েছে ডিসেম্বরে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের যে কোনো দিন বাছাই করার পক্ষে মত ইডব্লিউজির।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!