• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোটের হাওয়া প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনমুখী সব দল


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০১৭, ০১:০৪ পিএম
ভোটের হাওয়া প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনমুখী সব দল

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা ক্রমেই কেটে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। অন্যতম বড় দল বিএনপিও এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। এছাড়া ছোট-বড় সব দলই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২০ মে বিশেষ বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। ওইদিন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের তৃণমূল নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ এবং পাশাপাশি কিছু গাইডলাইন দেন। এরই ধারাবাহিকতায় কাজও শুরু করে দিয়েছেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে অনড় বিএনপিও এখন নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলছে। কারণ ১০ মে জাতির সামনে ভিশন-২০৩০ তুলে ধরেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এটাকে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবেও দেখছেন অনেকে। এছাড়া সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টিও আগামী নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫৮টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সম্মিলিত জোট নামে একটি পৃথক জোট গঠন করেছে। ঈদের পরই এ জোট বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে।

এছাড়া ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপশি বড় দুই জোটের বাইরে থাকা বাম ও ইসলামী দলগুলোও আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য একটি খসড়া রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। আগামী বছরের শেষ দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করা খসড়া রোডম্যাপে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহকে ধরে রাখা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করে আইন সংশোধন, সীমানা নির্ধারণ, ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুরাহা করতে চায় কমিশন।

আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধ্ব থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময়। আমরা নিজেরা (কমিশন) বসে ভোটের তারিখ দেব। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত দলের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ওইদিনই নেত্রী (শেখ হাসিনা) কাউন্সিলরসহ দলের সর্বস্তরের নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় নেতাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে নৌকার পক্ষে ভোটও চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমপিদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাদের তথ্য সংগ্রহ করছেন দলীয় প্রধান।

পার্লামেন্টারি পার্টির সর্বশেষ সভায় দলীয় এমপিদের সতর্ক করে বলেছেন, এবার আর গতবারের মতো নির্বাচন হবে না। কে কী করছেন তার সব তথ্য আমার কাছে আছে। এবার মুখ দেখে মনোনয়ন দেয়া হবে না। জনপ্রিয়তা ও নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে মনোনয়ন দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শেখ হাসিনা। বিএনপি নির্বাচনে আসবে, তা ধরেই এমপিদের কাজ করতে বলেন তিনি। ২০ মে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায়ও দলের সর্বস্তরের নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশের পরই এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ও জনসভার মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। বুধবার রাজশাহী জেলাকে নিয়ে বসেন তিনি। একইভাবে আজ পাবনা জেলাকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এমপি বলেন, এরই মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছি। নেত্রী ২০ মে তৃণমূলের নেতাদের সামনে গাইডলাইন দিয়েছেন কীভাবে কাজ করতে হবে। এরই অংশ হিসেবে আমরা সোমবার সম্পাদকমন্ডলীর সভায় বসে কৌশল নির্ধারণ করি। এরই মধ্যে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। রোজার মধ্যে আমরা বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করব। রোজার পরই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।

অন্যদিকে এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না- বিএনপির এমন অবস্থানে অনড় মনোভাব ব্যক্ত করলেও দলটি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি তালিকা দলটির চেয়ারপারসনের কাছে এসে পৌঁছেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০কে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারের সঙ্গেও তুলনা করছেন দলটির অনেকেই। তবে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চায় দলটির নীতিনির্ধারণী মহল। এ ইস্যুতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাঠে থাকার পাশাপাশি এর মধ্য দিয়েই নির্বাচনের জন্যও কাজ করতে চায় বিএনপির শীর্ষ মহল। এজন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহের কথা বললেও এর আগে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সুরাহা করতে চান।

গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, মানুষ এখন বর্তমান সরকারের পরিবর্তন চায়। সেজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ এ পরিবর্তন আনবে। আগামী নির্বাচন একদলীয়ভাবে করতে দেয়া হবে না, দেশে একদলীয় নির্বাচন আর হবে না। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করব এবং আন্দোলনও করব। আন্দোলন করব এজন্য যে, যদি সরকার সমঝোতায় না আসে, তাহলে এমন একটি সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে থাকতে হবে যাদের রাজনৈতিক স্বার্থ থাকবে না। যাতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারে।
আর নির্বাচন করতে হবে এজন্য যে সাড়ে তিন বছর অনির্বাচিত এ সরকার জবাবদিহিতা ছাড়া শাসন করছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন এ সরকারকে আর চায় না। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন আনবে। আমরা ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাব। জনগণ সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছে।

বুধবার এক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইসির রোডম্যাপের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা সর্বশেষ কথা বলে দিতে চাই, আপনারা যত রোডম্যাপ দেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি। কিন্তু নির্বাচনে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড করতে হলে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। ওই নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা আগে করতে হবে। রোজার পরই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের’ রূপরেখা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরবেন বলে জানান খন্দকার মোশাররফ।

এদিকে দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামী কার্যত নেতৃত্ব শূন্যতায় রয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতির জন্য আইনি জটিলতা এড়াতে দলটি গোপনেই সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আগামী নির্বাচন নিয়েও তারা কাজ করছে ভেতরে ভেতরে। দলের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক নিয়ে আইনি জটিলতায় পড়েছে দলটি। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনে তারা জোটগতভাবে অংশ নিলেও অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করবে না। এক্ষেত্রে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত সমঝোতার ভিত্তিতে করলেও এবার পৃথকভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এরশাদের জাতীয় পার্টি। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮টি দল নিয়ে জোট গঠন করেছেন এরশাদ। বুধবার শরিকদের নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। ঈদের পরই শরিকদের নিয়ে বসে আগামী দিনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন বলে জানান জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, আমরা ঈদের পরই শরিকদের নিয়ে দুই দিনব্যপী সভা করব। শরিকদের নিয়ে ওখানে বসে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আগামী নির্বাচন সামনে রেখে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। এর পরই আমরা কাজ শুরু করে দেব।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি ভোটের রাজনীতিতে ভালো ফল পাওয়ার জন্য জোটের পরিধি বৃদ্ধি করতেও কাজ করছেন অনেকেই। ভেতরে ভেতরে অনেকেই বড় দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে জোটে আসার জন্য। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৪ দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে জাকের পার্টিও ১৪ দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বহু আগে থেকে। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা ১৪ দল ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগপথ আন্দোলনে অংশও নিতে দেখা গেছে।

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে পৃথক জোট গঠনের ক্ষেত্রে ইসলামী দলগুলোও কাজ শুরু করেছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইসলামী ঐক্যজোট। জোটটি এতদিন ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে ছিল। বর্তমানে তারা ২০ দল থেকে বেরিয়ে এসে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জানিয়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তারা পৃথক জোট গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে কথা বলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। তিনি বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনে অংশ নেব এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব এ ঘোষণা আগেই দিয়েছি।
এখন ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি নির্বাচনী জোট গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি। বিভিন্ন ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য ৬০ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনও করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইসলামী ঐক্যজোট গঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, ফরাইজি জামায়াতসহ বেশকিছু ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

বামবলয়ে মোটামুটি সক্রিয় সিপিবি-বাসদ জোট ও বাম মোর্চা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে। এ বিষয়ে বাম মোর্চার অন্যতম শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। যেখানে ভোটের ভিত্তিতে সরকার গঠন হবে, সব দলের অংশগ্রহণ সেখানে থাকবে। এটা না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিপদসংকুল হবে।

এজন্য নির্বাচনের আগে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন হয়, তাহলে অন্যদের মতো আমরাও নির্বাচনে অংশ নেব। তবে এখন পর্যন্ত সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। নিজেদের জোটের মধ্যেও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!