• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘মকবুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ আছে’


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৬, ০১:৪১ পিএম
‘মকবুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ আছে’

জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমীর মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান। তিনি বলেন, ‘মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।’

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মকবুল যে রাজাকার ছিলেন সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। আমাদের কাছে এতদিন অভিযোগ ছিল না। একটি অনলাইনে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত যাই। এখনও প্রাথমিক তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’

ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নানের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন মকবুল। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ফেনী গেছেন ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা।

মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতারের পর বিগত প্রায় ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তিনি আত্মগোপনে থেকেই দল পরিচালনা করেছেন।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর সোমবার বিকালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল ঢাকা থেকে ফেনী পৌঁছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধানে ফেনী সার্কিট হাউজে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরের দিন ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে তদন্ত দল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে। তদন্ত দল জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মকবুল আহমাদের নির্দেশে হিন্দুপাড়ায় আগুন দিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে একই এলাকার খুশিপুর গ্রামের আহসানউল্লাহ নামে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ছাড়াও শহীদদের পরিবার ও প্রতক্ষ্যদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School

আরও পড়ুন