• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মক্কায় পবিত্র হজের কার্যক্রম চলছে


ধর্মচিন্তা ডেস্ক আগস্ট ৩১, ২০১৭, ০৯:২৯ এএম
মক্কায় পবিত্র হজের কার্যক্রম চলছে

ঢাকা: ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট)। ভাষা ও বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বের প্রায় ১৭১টি দেশের ২৫-৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের লক্ষ্যে মিনা থেকে আরাফাতে যাবেন। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ।

‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্‌ক, লা শারিকা লাক।’ তালবিয়া পাঠ করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে থাকবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন। ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আজ মুখর হবে আরাফাতের ময়দান। ৯ জিলহজ সকালে ফজর নামাজ শেষে আরাফাতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও লাখ লাখ হজযাত্রীর চাপ সামলাতে না পেরে মোয়াল্লেম ৮ জিলহজ এশার নামাজের পর আরাফাতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই আরাফাত-যাত্রা চলে সারা রাত। মিনার মতো আরাফাতে তাঁবুর সারি। তবে এগুলো অস্থায়ী।

হজ ভিসা নিয়ে যারা সৌদি আরবে গিয়ে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিত্সাধীন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য আনা হবে। কারণ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ।

জনশ্রুতি আছে, হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া দীর্ঘদিন কান্নাকাটির পর জাবালে রহমতে দুজনের দেখা হয়েছিল। জাবাল মানে পাহাড়। জাবালে রহমত হলো রহমতের পাহাড়। এই পাহাড়ে একটি উঁচু পিলার আছে। একে কেউ কেউ দোয়ার পাহাড়ও বলেন। পিলারের কাছে যাওয়ার জন্য পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ি করা আছে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরাফাতে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।

আরাফাত সীমান্ত পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে মসজিদে নামিরাহয় গিয়ে আরাফাত সীমান্ত শেষ হয়েছে। মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ।

সন্ধ্যায় মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবারো এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় শেষে মুজদালিফায় রাতযাপন করবেন। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

এর পর শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। পর দিন সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করার পর ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিগণ।

এদিকে সৌদি প্রশাসন হজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবার এক লাখ ২৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে ২৮ হাজার নারী নিরাপত্তাকর্মী মক্কা, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত ময়দানে হাজিদের সব ধরনের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!