• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
ধারাবাহিক উপন্যাস

মধ্য রাতের নদী (শেষ পর্ব)


সাহিত্য সংস্কৃতি ডেস্ক আগস্ট ২৪, ২০১৬, ০৪:২৬ পিএম
মধ্য রাতের নদী (শেষ পর্ব)

পুরুষ মানুষ অনেক কষ্টেও কাঁদে না। ওদের পৌরুষত্ব নিচু হয়। স্বয়ং মানুষ নির্মাতাই বুঝি বলে দিয়েছেন পুরুষ মানুষের চোখের পানির বড় দাম। তাই বুঝি ওরা বুক বেঁধে থাকে তবু কাঁদে না। মাঝিও অনেক চেষ্টা করে নিজেকে সামাল দিতে। কিন্তু পারে না। কেঁদেই ফেলে।

-রুশনী, আমি তরে অনেক কষ্ট দিচ্ছি। খমা কইরা দে আমারে।
-কান্দ কেন মাঝি? আইজ আমার বড় আনন্দের দিন। বড় সুখের দিন। সুখের দিনে কানতে নাই। আইজ আমি এমুন কইরা কেন সাজছি, জানও মাঝি। আইজ আমার ফুলশয্যা হইব। মাঝ রাইতের নদীতে আইজ আমার ফুলশয্যা হইব। আঁচল ভর্তি করে আনা ফুলগুলো রুশনী মেলে ধরে মাঝির সামনে।
-দেহ মাঝি দেহ। কত্ত ফুল। মেঘনার পানিতে তাজা ফুলের মইধ্যে শুইয়া আইজ আমার ফুলশয্যা হইব।
মাঝির বুকটা ধক্ করে উঠে। রুশনী এসব কি বলছে পাগলের মত? কি করতে চায় সে? মাঝি ক্ষিপ্র হাতে হাল ধরে। দ্রুত দাঁড় টানে ঘাটের দিকে। রুশনী বুঝতে পেরে ম্লান হাসে। অন্ধকারে সে হাসি মাঝির চোখে পড়ে না। রুশনীর খুব বলতে ইচ্ছে করে, মাঝি, অক্ষণই আমি মেঘনার বুকে ফুলশয্যায় ঘুমামু। তার আগে একবার, খালি একবার আমারে তুমি স্বামীর আদর দাও না। স্বামীর সোহাগ দাও না। স্বামীর ভালবাসা দাও না। কেউ জানবো না, মাঝি কেউ জানবো না। শুধু এই মধ্য রাইতের নদী সাক্ষী হইয়া থাকবো। এইডাতো কোনও পাপ হইব না মাঝি। যেদিন তোমার লগে বিয়ার কতা পাকা হইল, সেদিন থেইক্যাই যে তোমারে স্বামী বানাইয়া বুকের মইধ্যে তুইল্যা রাখছি আমি।

দাও না গো মাঝি। শুধু একবার দাও না আমারে স্বামীর সোহাগ। তাইলেই পূর্ণ হইব আমার জীবন। তারপরেও এইডা যদি পাপ অয় তবে আইজই, অক্ষণই এই মেঘনার জলে সব ধুইয়া মুইছ্যা শুদ্ধি কইরা লমু আমি। দাও না মাঝি। কিন্তু কিছুই বলা হয় না। নারী জীবনের আজন্ম সংস্কার রুশনীর সব ইচ্ছেতে বাঁধ সেধে হাত চাপা দিয়ে রাখে মুখে। শুধু বুক চিড়ে একটা দীর্ঘ আর্তশ্বাস বের হয়ে মিশে যায় অন্ধকারের মাঝে। আস্তে আস্তে শুধু বলে :
-আস্তে দাঁড় টান মাঝি। এত্ব জোড়ে দাঁড় টাইন্যাও তুমি আমারে সাথে লইয়া ঘাটে নাও বানতে পারবা না। এত্ত সুখ আইজ আমার মনে। এই সুখ লইয়া ঘরে ফিরা গিয়া আবার আমি দুঃখের যন্ত্রণা সইতে পারমুনা। বড় অসহ্য সে যন্ত্রণা মাঝি। বড় অসহ্য। অনুরোধ খালি একটাই, আমারে ভালবাইস্যো তুমি। রুশনী উঠে দাঁড়িয়ে আঁচলের সব ফুলগুলো পানির উপর ছিটিয়ে দেয়।
-দেহ, দেহ মাঝি কি সুন্দর লাগতাছে পানির উপরে ফুলগুলিরে। রতন মাঝি দূরে কোন অজানার উদ্দেশ্যে তাকিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে জোড়ে জোড়ে দাঁড় টানে। এমন নিমগ্ন হয়ে দাঁড় টানে যে রুশনীর কোনও কথাই সে মগ্নতা ভেঙ্গে মাঝিকে নৌকার কাছে ভাসমান ফুলগুলোর কাছে নিয়ে আসে না।

হঠাৎ মধ্য রাতের মধ্য নদীর গভীর নিস্তব্ধতাকে পেঁজা তুলার মতো ছিন্ন ভিন্ন করে বিকট এক ঝপাৎ শব্দে পেছন ফিরে তাকায় মাঝি। রুশনী নেই নৌকায়। মাঝির বুকটা কেমন করে উঠে। নৌকার পাশেই কিছু পানি ভুড় ভুড় শব্দ তুলে আবার আগের গতিতে ফিরে আসে। পানির স্বাভাবিক নিয়মে বয়ে চলে পানি। সেখানে শুধু অমাবশ্যার গভীর অন্ধকারকে উপড়ে ফেলে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপী রঙের কতগুলো ফুল উশৃঙ্খল হয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে সজোরে প্রকাশ করে ভেসে ভেসে বেড়ায়। বিমুঢ়ের মত তাকিয়ে মাঝি দেখে মধ্য রাতের নদীতে নানা রঙের ফুলেদের খেলা।

আজ ওরা গ্রাম ছেড়ে পালাবে। মাতব্বরের কাছে সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে, তার নগ্ন দৃষ্টি থেকে মাঝির জীবন রক্ষা করার তাগিদে ওরা আজ ভিটেহারা হবে। সেইজন্য কষ্টরা বুকের মধ্যে গুমরে গুমরে কেঁদে উঠলেও মাঝির ভালবাসার হাতে ভর করে নলীনি আবার খুঁজে পাবে নতুন ঠিকানা। সেই ভাবনায় সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাকডাকা ভোরে চৌকি থেকে নেমে আসে নলীনি। দরজার ঝাপ সরিয়ে দাওয়ার দিকে তাকিয়েই অবাক হয়।
বিপর্যস্ত চেহারা নিয়ে মাঝি বসে আছে দাওয়ার মধ্যে।


-আপনি কোন সময় আইলেন? মাঝি নিরুত্তর হয়ে করুণ চোখ মেলে নলীনির দিকে তাকিয়ে থাকে শুধু।
-আমারে ডাকলেন না? মাঝি নিজেকে শক্ত করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে বলে :
-অক্ষণই আইছি।
-ডাকলেন না আমারে? মাঝি বিষন্ন চোখে নলীনির মুখটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। মাঝির প্রতি ঐ মুখে কোথাও কোন অবিশ্বাস, কোথাও কোন সন্দেহের চিহ্ন লুকিয়ে আছে কিনা খুঁজে ফেরে।
-অন্ধকার রাইত। পথে ঘাটে কোন অসুবিধা হয় নাই তো?
-নাহ!
-আপনেরে এমুন লাগতাছে কেন?
-শইলডাত বড় ঝক্কি গেছে।

-শুইয়া থাকেন? ভালা লাগবোা।
-বৌ। আমার পাশে বস না। মাঝির কাতর অনুনয় ভরা ভালবাসায় নলীনি ভুলে যায় ভিটা হারানোর কষ্ট। নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবার আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয় নলীনির মন। ভারী শরীরটা নিয়ে আস্তে আস্তে বসে মাঝির পাশে।
-আমরা আইজঅই যামু ত?
-হ। এই মাঝি পাড়ায় আর মন টিকে না। মাঝি নলীনির একটা হাত চেপে ধরে নিজের অস্থিরতা কমাবার চেষ্টা করে।

মেঘনায় নাও-এর বাঁধন খুলতে গিয়ে হারু মাঝিই প্রথম আবিষ্কার করে মেঘনার বুকে ভাসমান রুশনীর লাশ। হারু মাঝির চীৎকারে মুহুর্তেই মাঝি পাড়ার ডেরা ঘরগুলো শূন্য হয়ে মানুষের ঢল নামে নৌকা ঘাটায়। মেঘনায় রুশনীর লাশ ভাসছে। একজিবিশনের মত ঘাটে দাঁড়িয়ে অগনিত মানুষ দেখে সে দৃশ্য। কয়েকজন মাঝি মিলে মেঘনার বুক থেকে রুশনীর লাশ পারে তুলে আনে। লম্বা করে পারে শুইয়ে দেয়া হয় রুশনীকে। বিয়ের সাজে রুশনী। মেঘনার জলে তার অনেকটাই ধুয়ে মুছে গেছে। নতুন শাড়ী, পায়ে আলতা, হাতে মেহেদী, খোপায় বিভিন্ন ফুলের মালা এখনও ম্লান হয়ে জেগে আছে তার শরীরে। রুশনীর নিস্তেজ শরীরটার উপর তার বাবা মা আছড়ে পরে কাঁদে। সে কান্না ভারী করে তোলে মাঝি পাড়ার আকাশ বাতাসকে। বাতাসের সাথে মিশে সে কান্না নদীর উপর দিয়ে ভেসে যায় দূর বহুদূর পর্যন্ত। পরিবেশ আরো ঘোলাটে, এলোমেলো করে তোলে নানাজনের নানা কথায় :

: আহরে! মাইয়াডা শেষ পর্যন্ত পানিত ডুইব্যা মরল।
: মাঝিত ভালা অইল। একটা মাইয়ার জীবন খাইয়া তয় ভালা অইল।
: বিয়াডা ভাইঙা যাওনে বড় শক্ পাইছিল মাইয়াডা।
: আহারে! বউ সাজনের বড় সখ আছিল মাইয়াডার।
: হ। দেহনা, কেমন সুন্দর কইরা সাইজ্যা তয় পানিত ঝাপ দিছে।
: হায়রে রুশনী! বড় অভাগী মাইয়া!

আরো হাজার মন্তব্য, হাজার দীর্ঘশ্বাস রুশনীর নিস্তেজ শরীরটাতে প্রলেপের উপর প্রলেপ বিছাতে লাগল করুণার। নলীনি মাঝির পাশেই বসেছিল। হারু বৌ উঠি-পড়ি করে ছুটে আসে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে :


-বুজান! ও বুজান! হুনছনি।
-কি?
-রুশনী পানিত ডুইব্যা মরছে।
-কস কি!
-হ বুজান।

হারু বৌ-এর সাথে নলীনিও ছুটে যায় ঘাটের দিকে। দর্শকের ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে। রুশনীর লাশের উপর এখনো আছড়ে পড়ে কাঁদছে তার বাবা মা ভাই বোন। সব দর্শকের মত নলীনিও দেখে এ দৃশ্য নিরব দর্শক হয়ে। একটা দীর্ঘশ্বাস চাপে নলীনি। মনে পড়ে বিয়ের পরদিন রুশনী নলীনির ডেরা ঘরটায় এসেছিল। নলীনির পাশে বসে নিজের মেন্দি পড়া হাতের সাথে নলীনির হাত দু’টো মেলে ধরে নির্ণিমেশ তাকিয়েছিল।

হায়রে রুশনী। অভাগী! একটা নৌকার দাম তুই দিলি শেষ পর্যন্ত জীবন দিয়া! জীবন কেন তরে লইয়া, আমারে লইয়া এমুন ছিনিমিনি খেলল। এবার আর দীর্ঘশ্বাস চাপতে পারে না নলীনি। শব্দ করে বুক চিড়ে বের হয়ে আসে। চোখ দু’টো ছল ছল করে উঠে নলীনির।
রতন মাঝি বিমূঢ়ের মত বসেই থাকে। নিজের শরীরের কোন স্পন্দনও যেন তার নিজেকে ছুঁতে পারে না। কাঁদেও না। চোখের দৃষ্টি যে কোথায় গিয়ে আবদ্ধ হয়েছে তাও বোঝার উপায় নেই।

নলীনি এক পা, দু’পা করে এগিয়ে গিয়ে বসে রুশনীর পাশে। হাত দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে রুশনীর মুখটা। চোখ থেকে অবাধ্য পানি ফোটা ফোটা হয়ে পড়ে রুশনীর মুখের উপর।
এমন সময় মাঝি পাড়ার ভেতর থেকে দৌড়ে আসে দশ বারো বছরের এক ছেলে। দূর থেকেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলে :

রতন মাঝির ডেরায় পুলিশ! রতন মাঝির ডেরায় পুলিশ!
পুলিশ! রতন মাঝির ডেরায়! বেশ কয়েকজন এক সাথে বলে উঠে। মুহুর্তের মাঝে আলোচনার পট পরিবর্তন হয়। প্রায় সবাই রতন মাঝির ডেরার দিকেই ছুটে আসে। রুশনী লাশ পড়ে থাকে তার মা, বাবা আর গোটা কয় নিকটাত্মীয়ের কাছে। নলীনিও উঠে দাঁড়ায়। হাঁটতে পারে না। পা যেন মাটির ভেতরে গেঁথে গেছে। তারপরও খুব কষ্ট করে ক্লান্ত বিষন্ন পা দু’টিকে টেনে টেনে আনে ডেরা ঘরটার দিকে। ভিড় ঠেলে উঠানের এক জায়গায় পা রেখেই মূর্তির মত দাঁড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ এরই মাঝে অপরাধীর হাতে হাতকড়া পড়িয়ে ফেলেছে। নলীনিকে দেখেই বিপর্যস্ত চোখের উদভ্রান্ত দৃষ্টি ফেলে রতন মাঝি তাকায় বৌ-এর দিকে। রতন মাঝির এমন করুণ মিনতি ভরা চোখ নলীনি যেন আর দেখেনি কখনো। ওর ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায়। রতন মাঝির পাশেই মাতব্বর দাঁড়িয়ে। নলীনিকে দেখেই ছাগলের মত দাঁড়িগুলোতে হাত বুলাতে বুলাতে কুৎসিত হাসি হেসে বলে :


-মাঝি আমার নাও-এর মাল চুরি করছে। হেই মাল বিক্রি কইরা নতুন নাও কিনছে। পুলিশ নিজেরাই এই খবর পাইয়া ছুইট্যা আইছে।
-আমি লগে আইলাম আর কি।
-কি কও বৌ, কাজটা ভালা করি নাই।

নলীনি মাঝির চোখের দিকেই তাকিয়ে থাকে। মাতব্বরের কথা নলীনির কানে ঢুকেছে কিনা বুঝা যায় না। মাঝি নলীনির দিকে তাকিয়ে বিপর্যস্ত ভাবে বলে :
-বৌ। জীবনে অনেক পাপ করছি। তার প্রায়শ্চিত্য করতে চললাম। শুদ্ধি হইয়া ফিরা আমু। তরে কথা দিয়া গেলাম বৌ। নলীনি কোন প্রতি উত্তর করে না। কাঁদে না। হাসে না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে রতন মাঝির চোখের দিকে তাকিয়ে।

মাঝি আবার বলে :
-দুনিয়ার বেবাক মাইনসে বিশ্বাস আর না করুক, খালি তুই বিশ্বাস করিস, মাতব্বরের নাও এর মাল চুরি কইরা আমি নতুন নাও কিনি নাই। তর পেটে আমাগর ভালবাসার ছাওয়াল। এই ছাওয়ালের কসম দিয়া কইয়া গেলাম। পুলিশের সাথে কয়েক কদম গিয়ে মাঝি আবার ফিরে দাঁড়ায়।
-তুই বড় ভালারে বউ। আমাগ ছাওয়ালডারে যতন কইরা বড় করিস।

মাঝি পুলিশের লোকগুলোর সাথে এগিয়ে যায়। মানুষের ভীড়ও সেদিকে যায়। মাতব্বর নলীনির দিকে তাকিয়ে কুটিল হাসি হেসে ওদের সাথেই পা বাড়ায়। নলীনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু দিক পরিবর্তন হয়। মাঝি চোখের আড়াল হয়ে যায়। নলীনি দাঁড়িয়েই থাকে। বেদনার ভারে ঢলে পড়ে না মাটিতে। অস্বাভাবিকভাবে হেসেও উঠে না। চারদিক কাঁপিয়ে চীৎকার করেও উঠে না। নলীনি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে কোন স্পন্দন নেই। কোন অনুভূতি নেই। কোন আবেগ নেই। কোনও জিজ্ঞাসা নেই। নলীনি ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। আর রতন মাঝি তখন এক নারীকে মেঘনার জলে ফুলশয্যায় চিরতরে শুইয়ে দিয়ে, আরেক নারীকে গভীর ভালবাসার অতল জলে ভাসিয়ে দিয়ে পুলিশের পাশে পাশে হেঁটে চলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে।

রিটা আশরাফের ‘একটু ভুলের অনুভূতি’ শিরোনামের একটি নিটোল প্রেমের উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে শিগগিরই... চোখ রাখুন সোনালীনিউজ-এ

কথাসাহিত্যিক ড. রিটা আশরাফ
নরসিংদী জেলার সদর থানার চিনিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় স্বরচিত কথাসাহিত্য প্রতিযোগিতায় বহুবার প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। কথাসাহিত্য রচনায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল থেকেও।
ড. রিটা আশরাফ বর্তমানে বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এইউবি) বাঙলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং একই সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন থেকেই। তাঁরই সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য পত্রিকা। পেয়েছেন ভারতের বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন সম্মাননা (২০১৪), ভিন্নমাত্রা সাহিত্য সম্মাননা (২০১০), গঙ্গা-গোবিন্দ সাহিত্য সম্মাননা (২০১৫), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি সহিত্য পত্রিকা সম্মাননাসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সন্মাননা।
রিটা আশরাফের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বালুচরে বসতি (উপন্যাস), নৈবেদ্যর নারী (উপন্যাস), বিবর্ণ স্বাধীনতা (উপন্যাস), একটু ভুলের অনুভূতি (উপন্যাস), তুতুলের খড়গোশ শিকার (শিশুতোষ গল্প), মামদোভূতের পুত (শিশুতোষ গল্প সংকলন) বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনলো যাঁরা (গবেষণা), নজরুল সাহিত্যে তৎকালীন বিশ্ব (গবেষণা), নজরুলের কুহেলিকা : একটি সার্বিক পর্যালোচনা (গবেষণা), নজরুল সাহিত্যে উপমা (গবেষণা) ইত্যাদি।

মধ্য রাতের নদী (পর্ব-০৯)


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!