ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলো। সোমবার প্রায় সারাদিনই পৃথক প্রস্তুতি সভা করে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলায় প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রামে গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা বার্তা ও পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকে প্রচার চালান। তাই সময় যতোই গড়াচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশ উপকূলের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে তীব্র দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে।
যদিও আবহাওয়া অধিদপ্তরের মধ্যরাতের ১৪ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোরা। আর মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছে।
‘মোরা’র কারণে দেশের উপকূলজুড়ে মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত ঘোষণার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভাসহ আশপাশের বেশ কিছু কেন্দ্রে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বাতাসের গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনেরও ভিড় বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে প্রশাসনও তৎপরতা চালাচ্ছে।
এদিকে ভিয়েনায় অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশও দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
সোনালীনিউজ/ এসও
আপনার মতামত লিখুন :