• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
পিঠা উৎসব শুরু

‘মনটা মোর পিঠা খাবার চায়’


শিল্প সংস্কৃতি ডেস্ক জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৯:৩৭ পিএম
‘মনটা মোর পিঠা খাবার চায়’

ঢাকা: পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার। গ্রাম বাংলায় এই সময়ে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শহরের মানুষেরও এখন পিঠা পুলি খাওয়া অভ্যেস গড়ে উঠেছে। আর যদি পিঠা উৎসব হয় তাহলে সেখানে দলে দলে মানুষ আসে। স্বাদ নেয় নানা রকমের পিঠার। শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় পিঠা উৎসব’।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আটদিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, বর্ষীয়ান নৃত্যশিল্পী আমানুল হক প্রমুখ।

ম হামিদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন- ‘জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব খন্দকার শাহ আলম। উৎসবে চল্লিশটি স্টলে পিঠা শিল্পীরা নিয়মিত পিঠা তৈরি করছেন। একই সঙ্গে চলছে পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রি। উৎসবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন আয়োজকরা। পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি এসব অনুষ্ঠানও উপভোগ করছেন উৎসবে আসা মানুষ।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পিঠা শীতের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক। ছোটবেলা থেকেই পিঠা বানানো দেখেছি বাসায়, আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়।

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বললেন, ২০০৮ সালে যখন দেশে সকল সাংস্কৃতিক কর্মকা- স্থবির তখন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় শুরু করা সেই উৎসব গত দশ বছরে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখন দল বেঁধে মানুষ আসে এ উৎসবে। তিনি জানান, শুধু উৎসব আয়োজনই নয় যাতে মেয়েদের মাঝে পিঠা তৈরির আগ্রহ সৃষ্টি হয় সেজন্য প্রতিবছর পাঁচজন সেরা শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়।

ভাওয়াইয়া শিল্পী সফিউল আলম রাজার ‘মনটা মোর পিঠা খাবার চায়’ এ গান দিয়ে শুরু হয় উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন সনৎ কুমার বিশ্বাস, ওমর আলী, দেলোয়ার বয়াতী, শিমুল খানের গানে জমে ওঠে উৎসব মঞ্চ। ফাল্গুনী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার নৃত্য পরিচালনা দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

নানা ধরনের পিঠা রয়েছে উৎসবের স্টলগুলোতে। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারী। ভাঁপা পিঠা, ঝাল পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, চুটকি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, পানতোয়া, মালপোয়া, মেরা পিঠা প্রভৃতি। উৎসব চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোনালীনিউজডটকম

Wordbridge School
Link copied!