• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মনে প্রেম হাতে বই


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০১:৪৪ পিএম
মনে প্রেম হাতে বই

ঢাকা : সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের উৎসবমুখর মৃত্যুদিবস আছড়ে পড়েছিল কাল গ্রন্থমেলায়। ঝাঁকে ঝাঁকে কপোত-কপোতীরা লাল রঙ গায়ে মেখে মেলায় এসে ভালোবাসা দিবস কাটিয়েছে। আড্ডা দেওয়া, বই কেনাও চলেছে।

পহেলা ফাগুনের তুলনায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মেলায় ভিড় ছিল কম। তাতে বই বিক্রিও ছিল কম। মেলায় আগতদের বড় অংশ শুধু ঘুরতেই এসেছে। বইয়ের স্টলের চেয়ে তাদের কাছে ফুচকার দোকান ছিল বেশি প্রিয়। সঙ্গত কারণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুটো ফুড কোর্ট ও বাংলা একাডেমির ক্যান্টিনে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

এবারের মেলায় বেচাকেনায় প্রকাশকরা ঠিক খুশি হয়ে উঠতে পারছেন না। শুক্র-শনি ও বিশেষ দিনে বই বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও অন্যান্য দিনের বেচাকেনায় অধিকাংশ প্রকাশকের মুখে তৃপ্তি নেই। কয়েকটা বড় প্রকাশনী বাদে বেশিরভাগ প্রকাশকই বলছেন- ‘এবার যেন একটু মন্দা!’

গ্রন্থমেলা শুরুর চৌদ্দ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকাশকরা পুরোপুরি তৃপ্তির হাসি হাসতে না পারার অন্য কারণও আছে। এবার রেকর্ড সংখ্যক আটশ’ ইউনিট স্টল দেওয়া হয়েছে। প্যাভিলিয়নের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাতে প্রকাশক, বই সবই আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যবসার পাল্লায় মাপলে বাজারে প্রতিযোগী বেশি।

আরেকটা কারণ, মেলার সোহরাওয়ার্দী প্রান্তরে প্রায় ১০০টিরও বেশি স্টল এমন জায়গায় পড়েছে যেখানে লোক সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদিও কিছুটা সম্ভাবনা ছিল, শেষ মুহূর্তে পূর্বনির্ধারিত নকশা পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব কোনার প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়ায় ওই দিকটা প্রায় জনশূন্যই থাকে। বাংলা একাডেমির এমন খামখেয়ালিপনা প্রতিবছরই গ্রন্থমেলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। উত্তর-পূর্ব কোনার প্রকাশকদের অভিযোগ, প্রবেশদ্বারটা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বই কেনার পাঠক পাচ্ছেন না। তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতিটাও মেলা শেষে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে দাঁড়াবে।

নতুন বই : বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল গ্রন্থমেলায় নতুন বই এসেছে ১৯২টি। গত দুই সপ্তাহে নতুন বইয়ের মোট পরিমাণ দাঁড়াল ১৯৩২টি। গতকাল মেলায় এসেছে কবিতা ৭৩টি, উপন্যাস ২৭টি, গল্প ২২টি ও অন্যান্য বিষয়ের বই ৭০টি।

এর মধ্যে আবুল কাশেম ফজলুল হকের বাংলা সংস্কৃতি বিষয়ক গ্রন্থ ‘সংস্কৃতির সহজ কথা’ (অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স), ড. আনোয়ারা হকের কাব্যগ্রন্থ ‘নিশিথেও যেওনাগো তুমি’ (মিজান পাবলিশার্স), তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস ‘শোধ’ (শব্দশৈলী প্রকাশনা), শামসুজ্জামান খানের কিশোর গল্প সঙ্কলন ‘চন্দ্রমুখী’ (মাহি প্রকাশনী), নির্মলেন্দু গুণের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে হলো’ (চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ) ও মোহাম্মদ হাসান শরীফের ‘আক্রায় পাওয়া পাণ্ডুলিপি’ (কালো) অন্যতম।

আজকের অনুষ্ঠান : আজ বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আহমদ কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং এম আবদুল আলীম। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!