• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
এশিয়া কাপ হকি

‘মনোসংযোগের অভাবে হেরেছে বাংলাদেশ’


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ১৫, ২০১৭, ০৯:৩১ পিএম
‘মনোসংযোগের অভাবে হেরেছে বাংলাদেশ’

ঢাকা: ১৯৮৫ সালে এশিয়া কাপ হকির দ্বিতীয় আসর বসেছিল ঢাকায়। সেবার ইরানকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ড্র করেছিল জাপান ও চীনের সাথে। ৩২ বছর পর আবারও ঘরের মাঠে বসেছে এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ খ্যাত এই হকি টুর্নামেন্ট । কিন্তু নিজেদের মেলে ধরতে পারেন নি জিমি-চয়নরা। একে একে তারা হেরেছে পাকিস্তান, ভারত ও জাপানের বিপক্ষে। এ জন্য মনোসংযোগের অভাবকে দায়ি করেছেন স্বাগতিক দলের কোচ মাহবুব হারুন।

রোববার (১৫ অক্টোবর) মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, আমাদের এই ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। আসলে পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে তৃতীয় কোয়ার্টারে। তৃতীয় কোয়ার্টারে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস হয়েছে। গোলগুলো মিস হওয়ায় লীড নেয়া হয়নি। পক্ষান্তরে ওরা তো শেষ মুহূর্তে চেষ্টা তো করবেই। সেই চেষ্টায় সফল হয়েছে। 

মাহবুব হারুন বলেন, শেষের দিকে আমাদের খেলোয়াড়দের মনোযোগ থাকে না।মনোযোগ বজায় রাখার জন্য আমরা নানা পরামর্শ দেই চেষ্টা করি কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয় না। আমরা এই ম্যাচটি তিন পয়েন্টের জন্য খেলেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল কাউন্টার অ্যাটাক।

লাল সবুজ দলের কোচ বলেন, মানকিসক উন্নতির জন্য আরো বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। আমাদের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ম্যাচ সে রকম খেলার সুযোগ পায় না। তিন ম্যাচের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট না। আগে থেকেই বলে আসছি আমরা স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জিততে চাই। এখন আমাদের লক্ষ্য পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান।

এদিন অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় ভাল খেলেছে বাংলাদেশ। আশরাফুলদের প্রশংসা করে জাপানের কোচ আইকমান বলেন, বাংলাদেশ এই ম্যাচে দারুণ খেলেছে। বেশ ভালো ডিফেন্স করেছে। গোলেরও সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততেও পারতো। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও আরো বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে। তাহলে ভুলগুলো কম করবে।

জাপানি কোচ বলেন, দুভার্গক্রমে আমরা বেশি ব্যবধানে জিততে পারিনি। বড় ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল ম্যাচ। পেনাল্টি কর্নার, পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল মিস হয়েছে। এমনকি ফাকা পোস্টেও।  পেনাল্টি কর্নার অনেক আদায় করলেও গোল তেমন হয়নি। এর পেছনে কারণ আমার খেলোয়াড়র এখনো তরুণ ও অনভিজ্ঞ। তারা গোলের জন্য খুবই উদগ্রীব থাকায় উদ্বিগ্নতা কাজ করে। তবে এই ম্যাচগুলোর মাধ্যমে তারা শিখছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্র্রক্রিয়ারই অংশ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!