• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মরার পথে ডেড সী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৭, ২০১৬, ১০:৩৬ এএম
মরার পথে ডেড সী

জর্ডান এবং ইসরাইল সীমান্তে অবস্থিত মৃত সাগর (ডেড সী) এবার সত্যি সত্যি মরার পথে। দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসা এ সাগরের পানি এতটাই ঘন যে তাতে রীতিমত ভেসে থাকা যায়। খবর: বিবিসির।

ডেড সীর পানিতে ভেসে থাকার আগ্রহে সেখানে প্রতিবছর অনেক পর্যটক পাড়ি জমান। তিরিশ বছর আগে ইসরাইলের এনগেডি রিজোর্টটি তৈরি হয়েছিল। তখন সাগরের পানি ছিল সেটির দেয়াল দেয়াল ঘেঁষে। কিন্তু ৩০ বছর পর এখন এই সমুদ্র এত সঙ্কুচিত হয়েগেছে যে তার পানি দেখতে হলে পর্যটকদের পাড়ি দিতে হয় প্রায় ২ কিলোমিটার। তাও তাদের জন্য তৈরি এক বিশেষ ট্রেনে চড়ে। তবে ডেড সীর মৌলিক গুণাবলী এখনো অটুট রয়েছে। ইচ্ছে হলেই তাতে ভেসে ভেসে বই পড়া যায়। ইউক্রেন থেকে আসা পর্যটক নাতালিয়া বলছেন তার এত দীর্ঘ যাত্রা সফল।

তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো কাদামাটি মেশানো এমন পানি ব্যবহার করিনি। আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমার মনে হচ্ছিলো কোনো এক শক্তি আমাকে আকাশের দিকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ বেশ কয়েক বছর হলো মৃত সাগরের আশেপাশের চেহারা খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। গতবছরও এখানে পর্যটকদের জন্য থাকার জায়গা, দোকানপাটসহ আরু অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু এখন তার কিছুই আর বলতে গেলে নেই। কারণ পুরো এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে সিংকহোল।

প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া মাটির গর্তে দেবে যাচ্ছে অনেক ভবন। সিংকহোলের বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গিডিবেয়ার বলেন, ‘এটি খুবই নাটকীয় ঘটনা এবং দুশ্চিন্তারও বিষয়। বিশেষ করে যারা এই সৈকতের ওপর নির্ভর করে জীবনধারণ করত তাদের জন্য।’ গত কয়েক বছরে পুরো এলাকায় কয়েক হাজার চোরাবালির মতো সিংকহোলে দেবে গেছে প্রচুর স্থাপনা। তিনি বলেন, ‘অতীতে ভূতত্ত্ববিদরা প্রাচীন চিহ্ন দেখে বোঝার চেষ্টা করতো যে এসব সিংকহোল কিভাবে তৈরি হয়। এখানে আমরা চোখের সামনে দেখছি যে সিংকহোল কিভাবে তৈরি হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!