• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মসুল উদ্ধার অভিযানে মানবিক সংকট হতে পারে : জাতিসংঘ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০১৬, ০৯:৪১ পিএম
মসুল উদ্ধার অভিযানে মানবিক সংকট হতে পারে : জাতিসংঘ

সম্প্রতি মসুল উদ্ধার অভিযানের চিত্র

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কবল থেকে ইরাকি শহর মসুল পুনরুদ্ধারে সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি বলেন, ‘দায়েসের (আইএস) সন্ত্রাস ও অত্যাচার থেকে আপনাদের মুক্ত করার জন্য আজ আমি একটি বীরোচিত অভিযান শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি। স্বাধীনতা ও মুক্তি উদযাপনের জন্য আমরা শিগগিরই মসুলের মাটিতে মিলিত হব।’

এই অভিযানের প্রভাবে মানবিক সঙ্কট ‘সাংঘাতিক’ হতে পারে এবং ১২ লাখ বেসামরিক মানুষ এর শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

বিবিসি ও রয়টার্স বলছে, টেলিভিশনে এ ভাষণ দেয়ার সময় ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা আবাদির পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বহু প্রতীক্ষিত মসুল অভিযানে কুর্দি পেশমেরগা, ইরাকি সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্র বাহিনীগুলো অংশ নিচ্ছে। এসব বাহিনীকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী সমর্থন দিচ্ছে। জোট বাহিনী স্থল অভিযানের পাশাপাশি বিমান হামলা চালিয়েও সমর্থন দিচ্ছে। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ২০১৪ সাল থেকে আইএসের নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করে।

আবাদির ভাষণের পরপরই কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে মসুলের ওপর বোমাবর্ষণের দৃশ্য দেখানো হয়েছে, পাশাপাশি রকেট ছোঁড়ার, রাতের আকাশে ট্রেসার বুলেটের বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এ সময় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

ইরাকের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এ অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব সেনার মধ্যে ইরাকি সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি কুর্দিদের পেশমেরগা বেসামরিক বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় সুন্নি নৃগোষ্ঠীর যোদ্ধারাও রয়েছেন। অপরদিকে মসুল ও এর আশপাশে আইএসের চার থেকে আট হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরাকে আইএসের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি মসুল। এই ঘাঁটিটির পতন হলে ইরাকের লড়াইয়ে আইএসের চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে, এটি ধরে নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০১৪ সালে আইএসের নেতা আবু বকর আল বাগদাদি মসুলের প্রধান মসজিদ থেকেই ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় আইএসের দখলকৃত এলাকায় ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!