• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৯, ২০১৬, ০৩:৩৭ পিএম
মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

ফাইল ছবি

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। আজ রোববার (৯ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পূজামন্ডপে অষ্টমী পূজা ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টমী পূজার অঞ্জলি দিতে প্রতিটি পূজামন্ডপে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কুমারী পূজা উপলক্ষে সকাল থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনে ভিড় জমান রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলার ভক্তগণ।

হিন্দু সম্প্রদায় আগামীকাল সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী পালন করবে। আর মাত্র একদিন পরেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার অশ্রু।

আজ রোববার ছিল মহাঅষ্টমী। রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হয় পূজার আকর্ষণীয় পর্ব ‘কুমারী পূজা’। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা। শাস্ত্র মতে, এদিন তার নামকরণ করা হয় ‘উমা’। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।

কুমারী পূজা দেখতে সকালে রামকৃষ্ণ মিশন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সকালে মতিঝিল থেকে গোপীবাগমুখী রাস্তায় ঢুকতেই ঢাকঢোলের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। বিরামহীন ঢোলের আওয়াজের সঙ্গে থেমে থেমে বেজে উঠে ঘণ্টা আর কাঁসার শব্দ আর নানা বয়সের নারীদের ভক্তিভরা উলুধ্বনি। এরই মাঝে পিতার কোলে চড়ে মন্ডপে অধিষ্ঠিত হলেন ‘কুমারী মা’। হাজারো ভক্ত জয়ধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন কুমারী মাকে।

সারাদেশের রামকৃষ্ণ মিশন ছাড়াও মিশন নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মঠেও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। টুকটুকে লাল শাড়ি পরে আসা কুমারী মায়ের চোখে-মুখে ভীতিমিশ্রিত আনন্দের ছাপ। চারদিকে তখন অগণিত মানুষের ভিড়। কুমারী মা আসনে আসার পর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বেলা ১১টায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!