• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
সুন্নী ইজতিমার ২য় দিন

মহানবীকে (সা.) অনুসরণই মুক্তির একমাত্র উপায়


 বিশেষ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬, ০৬:০৭ পিএম
মহানবীকে (সা.) অনুসরণই মুক্তির একমাত্র উপায়

ঢাকা: ‘দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালে মুক্তি পেতে হলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মহান আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। না হলে এভাবেই মানুষকে খুন রাহাজানি, হানাহানি, বিশৃঙ্খলা, সঙ্কট, সমস্যার আবর্তে হাবুডুবু খেতে হবে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো প্রিয়নবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণ।

দাওয়াতে ইসলামী ব্যবস্থাপনায় রাজধানী ঢাকার আশকোনায় তিনদিনের সুন্নাতে ভরা ইজতিমার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সংগঠনটির মুবাল্লিগরা এসব কথা বলেন।

মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, মানবতার মুক্তির দূত রাসুলে করিম (সা.) সর্বোচ্চ আদর্শের অধিকারী। তার আদর্শই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও অদ্বিতীয় উত্তম আদর্শ। কিন্তু আজ আমরা তাঁর এই মহান আদর্শ অনুসরণ না করে গুনাহে লিপ্ত। এ কারণে মানবতাবোধ আমাদের থেকে লোপ পেয়েছে। আমরা ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছি। এ থেকে মুক্তি পেতে সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়া কেরামের পথ ধরে মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নাই।

ইজতিমার দ্বিতীয় দিনে দিনভর দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগগণ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে মিথ্যা অবলম্বনের পরিণাম, সততার পুরস্কার, পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের ফজিলত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায়, আল্লাহর রাস্তায় দান করার ফজিলত, দ্বীন ধর্মের জন্য নিজের মাল সম্পদ সবকিছু উৎসর্গ করার প্রতিদান এবং আল্লাহর রাস্তায় সফর করার গুরত্ব ইত্যাদি বিষয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করা হয়। ইজতিমা মাঠে যে যেখানে পেরেছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করেন। প্রত্যেকটি ওয়াক্তে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা হয়।

রাজধানীর আশকোনায় তিনদিনের সুন্নী ইজতিমার দ্বিতীয় দিনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। বিশাল প্যান্ডেল ছাড়িয়ে আশেপাশের রাস্তাঘাট কানায় কানায় পুর্ণ। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ আদায় ও  আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এখনো ইজতিমায় আসছেন মুসল্লীরা।  ইজতিমাকে কেন্দ্র করে প্রায় শতাধিক স্টল বসেছে। এসব স্টলে বেচাকেনা হচ্ছে। ইজতিমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশসদস্যসহ দাওয়াতে ইসলামীর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। প্রত্যেককে তল্লাশি করে ইজতিমায় প্রবেশ করানো হচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জঙ্গিবাদ বনাম ইসলাম নিয়ে সারগর্ব আলোচনা হবে। পবিত্র জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। এর মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিনদিনের এই সুন্নাতেভরা ইজতিমা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!