• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘মাঠ প্রশাসনে পরিবর্তন নীল নকশারই অংশ’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম
‘মাঠ প্রশাসনে পরিবর্তন নীল নকশারই অংশ’

ঢাকা : জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের ব্যাপক পরিবর্তন একটি সুদুরপ্রসারী নীল নকশারই অংশ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, এই ঘটনায় কমিশনের শুধু ভাবমূর্তিই নষ্ট হয়নি বরং এতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ড বিশাল প্রশ্নের সম্মুক্ষীণ হয়েছে।

গতকাল বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন দলের মুখপাত্র রহুল কবির রিজভী এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজকে একটি দৈনিক পত্রিকায় নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ-পদোন্নতি কমিটির যিনি প্রধান তিনি গণবদলী ও পদোন্নতির ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইসির নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পূণর্বিন্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এ বিষয়ে ইসি’র সচিবকে নোট দিয়েছেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেশবাসীর মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। এতে স্বয়ং ইসি’র অনেক কর্মকর্তাও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ডিসেম্বর থেকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে অশুভ উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পিত গণবদলী ও পদোন্নতির ঘটনা ঘটানো হয়েছে কী না, সেটি নিয়ে সকলের মনে বড় ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনগুলোকে প্রভাবিত করার জন্যই একটা চক্রান্তজাল বিস্তারের আলামত কী না সেটাই দেশের ভোটারদেরকে এখন ভাবিয়ে তুলেছে।

সুন্দরবনের সুরক্ষাকে বিপন্ন করছে সরকারের একগুঁয়েমি নীতি এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কয়লা পুড়িয়ে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে জাগ্রত দেশবাসী প্রতিবাদমুখর। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারনে সুন্দরবনের বিশ্বঐতিহ্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। কিন্তু সরকার নাছোড়বান্দার মতো দেশের পরিবেশ, জলবায়ু এবং মানুষকে ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের যে মহাদুর্নীতি সেটির আরেকটি বড় সুযোগ সৃষ্টি হবে এই রামপাল প্রকল্পে। সেজন্য সরকার এখন মরিয়া হয়ে প্রতিবাদকারীদের ওপর চালাচ্ছে নিষ্ঠুর উৎপীড়ণ। রক্তাক্ত ঝরাচ্ছে দেশও পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারীদের ওপর।

গত মঙ্গলবার রামপালে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারী পেটোয়া বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার হয়নি, লেনদেন হয়েছে। আবার তিনি এটাও বলেছেন যে, তবে সামান্য কিছু অর্থ পাচার হয়েছে। এর আগে মাত্র কয়েকদিন আগে সিলেটের এক সভায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারে আমরাও দায়ী। এধরণের স্ববিরোধী বক্তব্য আওয়ামী নেতাদের চিরাচরিত টেকনিক।

তিনি বলেন, আসলে ক্ষমতাসীনদের উচ্চ পর্যায়ের অনেক নেতারাই এই লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারে জড়িত বলেই তাদের চাপেই অর্থমন্ত্রীকে আগের কথা থেকে সরে আসতে বাধ্য করা হয়েছে, তাকে আবারো বলীর পাঠা করা হয়েছে। এটা সর্বজনবিদিত যে, সরকারী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাটে শূণ্য হয়ে গেছে। সরকারের লুটপাট আর দুর্নীতিতে তারা এখন টালমাটাল হয়ে গেছেন। সেদিন আর বেশী দূরে নয়-লুটপাটের জন্য একদিন জনগণের নিকট জবাবদিহি করতেই হবে।

এছাড়া রিজভী বলেন, অর্থমন্ত্রী যতোই ‘জাহাজমার্কা বাজেট’ দিন না কেন, দেশের অর্থনীতি যে ফাঁকা ফাঁপা শূণ্যগর্ভ, তা দেশ-বিদেশের কারো নিকট অজানা নয়। তাই যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন না কেন তাতে লাভ হবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!