• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের


মাদারীপুর প্রতিনিধি নভেম্বর ১১, ২০১৬, ০৬:১৬ পিএম
মাদারীপুরে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের

মাদারীপুর : মাদারীপুরে অন্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিগত বছরগুলোতে আখের ভালো ফলন হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের এ আগ্রহ। ভালো ফলনে নতুন চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। জেলার মাটি এটেল দো-আঁশ মাটিতে আখের ফলন ভালো হওয়ায় গত কয়েক বছরের মত এবারো সফলতা আশা করছেন চাষীরা। এছাড়া ধান,পাট ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশী এবং আখ চাষে খরচ কম হওয়ার এতে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

মাদারীপুর কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৪টি উপজেলার ৭শত ৬০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন  গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষীরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পরে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় জেলায় কৃষকরা আখ চাষে বেশী আগ্রহী হচ্ছেন। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশী হওয়ার কারনে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। বাংলা মাসের আশ্বিন মাশেই নতুন করে আখচাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ফুট গর্ত করে পাশে তিনফুট পাশে রেখে মাটির সাথে বিভিন্ন সার মিশিয়ে ভালোমত চেলে আখের চারা রোপন করা হয়। প্রায় ১বছর  মাঝামাঝি আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়। মাদারীপুরের কৃষকরা এ বছর হলুদ রং এর আখ, চিবিয়ে খাওয়া আখ, টেনাই, অমৃত জাতের আখের আবাদ করেছেন। এছাড়াও আখের পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমের শাক-সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

আখচাষী  মো. উকিল উদ্দিন খান জানান, ‘এ বছর আখের ফলন ভাল হয়েছে, সে তার ২একর জমিতে হলুদ বর্নের গ্যান্ডারী চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ১২ হাজার টাকা এবং আখ বিক্রি করেছেন ৫০ হাজার টাকা।’

তবে মাদারীপুর জেলায় নেই আখ চাষীদের জন্য কোন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা। নেই আখ চাষীদের জন্য কোন প্রকল্প। এবং ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করে লাভবান না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে বর্তমানে মাদারীপুরের কৃষকরা। আখের ন্যায্য মূল্য দিয়ে কৃষকদের মুখে হাঁসি ফোটাবে, দেশ হবে স্বনির্ভর এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। এদিকে যে টাকা দেয়, তাকেই ভালো পরামর্শ ও সরকারী বীজ, সার দেয়া হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজৈর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিতোষ বলেন, মাদারীপুর দুই প্রজাতীর আখ চাষ করে। কিন্তু কৃষকরা সচারচর শুধু পরমর্শটুকুই পাই, এছাড়া কৃষকরা সরকারিভাবে আর কিছুই পায় না। যদি সরকারিভাবে তাদের বীজ ও সার দেয়া যেত তাহলে অনেক কৃষক উপকৃত হত।

মাদারীপুরের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাদারীপুরের মাটির গুনগত মান খুবই ভাল আর সময়মত আখের চারা রোপন করতে পারলে ফলন অবশ্যই ভাল হয়। বর্তমানে ধান ও পাটের খরচের তুলনায় দাম কম থাকায়, আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। তবে মাদারীপুরে এই বিষয়ে কোন প্রকল্প নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!