• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংষর্ঘ, আহত ১০


মাদারীপুর প্রতিনিধি জুলাই ১২, ২০১৭, ০৯:৩৩ পিএম
মাদারীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সংষর্ঘ, আহত ১০

মাদারীপুর: এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।  

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুত্ব অবস্থায় পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লাকে ফরিদপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, গত ২ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী মোল্লা ও খোয়াজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহম্মদ আলী মুন্সীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় মোহম্মদ আলী মুন্সীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। তবে সোমবার (১০ জুলাই) তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) মেহেদী মোল্লার শাস্তির দাবিতে প্রতিপক্ষের অনুসারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা শহরে মানববন্ধন করেন। অন্যদিকে বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এর পাল্টা হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মেহেদী মোল্লার পক্ষের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেন।

ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সূত্র জানায়, এলাকায় মেহেদী মোল্লা  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের এবং মোহম্মদ আলী মুন্সী নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বাহাউদ্দিন নাসিমের অনুসারী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, সংঘর্ষে পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জাকির হাওলাদার ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লাসহ অন্তত পাঁচ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বুধবার আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন শেষ করার পর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষ অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

অন্যদিকে নৌমন্ত্রীর ভাতিজা ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান বলেন, বুধবার তাদের এক কর্মীর আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল। তিনি আদালতে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়।   

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের মানববন্ধন চলাকালে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা আতর্কিত হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ১০জন আহত হয়।

তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন। বর্তমানে পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!