• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়িত্ব নিতে হবে মিয়ানমারকে’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭, ০৬:৫৬ পিএম
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়িত্ব নিতে হবে মিয়ানমারকে’

ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়ন ও সহিংসতার ভয়ংকর সব সাক্ষ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়িত্ব নিতে হবে মিয়ানমারকে।

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা এক নারী জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তাঁকে যখন ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে এসে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এ সময় হামলাকারীদের একজন সেই শিশু কন্যাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ধরনের আরও ভয়ংকর সব ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দুই শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুক্রবার(৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর বলেছে, রাখাইনে যা ঘটছে তা সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সাক্ষ্যদানকারী রোহিঙ্গারা সেখানে হত্যা, ধর্ষণ এবং এ ধরনের অনেক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। অর্ধেকের বেশি নারী বলেছেন তারা ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

সাক্ষ্যদানকারী রোহিঙ্গারা আরও জানিয়েছেন সেখানে অনেক রোহিঙ্গা পরিবারের সবাইকে তাদের বাড়িতে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের স্কুল, মসজিদ, দোকান-পাট, ক্ষেতের ফসল এবং গবাদিপশু। লুট করা হয়েছে গহণা, টাকা, ঘরের আসবাব ও দামি জিনিসপত্র। এসব সহিংসতা হয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে এক বিরাট দমন অভিযান শুরু করার পর। 

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, যে সাক্ষ্য প্রমাণ তারা পেয়েছেন, তাতে তাদের মনে হচ্ছে রাখাইনে যা ঘটছে তা সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং এর দায়িত্ব মিয়ানমারকে নিতে হবে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!