• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানবাধিকার সংগঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৭:০৪ পিএম
মানবাধিকার সংগঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়

ঢাকা: বাংলাদেশে কার্যরত দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে এবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত‌্যার ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ‘কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি না আসায়’ তিনি এ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার(২৪ জানুয়ারি) পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টিকে অদ্ভূত বলেও মন্তব্য করেন। পুলিশ সপ্তাহ চলাকালে এ মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। 

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোটোখাটো ঘটনা হলেই দেখি হাউকাউ শুরু হয়ে যায়। একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করার পর কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা কেউ এ ব্যাপারে কোনো শব্দও করে না। বাংলাদেশ তো একটি অদ্ভূত দেশ দেখি। 

প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি। কয়েক ব্যক্তি তিনটি মটরসাইকেলযোগে এসে তাকে গুলি করে চলে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যার কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অবশ্য, আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস‌্যকে হত্যার জন‌্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে আসছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে, এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি এলাকায় এ ব্যাপারে সর্তক থাকবে হবে।

২০১৫ সালের অক্টোবরে সুন্দরগঞ্জে লিটনের গুলিতে এক শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুদিন কারাগারে কাটাতে হয় এই সংসদ সদস‌্যকে। সে সময় তার লাইসেন্স করা অস্ত্রও জব্দ করে থানায় রাখা হয়। এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লিটনের বাসা থেকে পুলিশ তুলে নেওয়া হয়েছিল। কেন পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়া হলো? তার বিরুদ্ধে একটা অপবাদ দিয়ে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র তার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হল।... মনে হল একেবারে পরিকল্পিতভাবে ছেলেটাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হল।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি এলাকায় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখতে হবে। নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে সব পরিস্থিতি মোকাবেলায় করতে হবে। এসময় তিনি গতবছর হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কছে পুলিশের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করা হয়। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশ মহা-পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্তি ডিআইজ হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

সোনালীনিউজ/আতা
 

Wordbridge School
Link copied!