• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষ মেরে ফ্রিজে মাংস রেখে খেতেন সেই তরুণী!


বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭, ০৯:২৮ পিএম
মানুষ মেরে ফ্রিজে মাংস রেখে খেতেন সেই তরুণী!

ঢাকা: ঘটনাটা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার। সেখানকার ২৯ বছরের সেই তরুণীর শখ ছিল মানুষের মাংস খাওয়া। নিজের বাড়িতে পরিচিতদের ডেকে এনে খাবার পরিবেশন করতেন তরুণী। সেই খাবারে মেশানো থাকত বিষ। অভ্যাগতের মৃত্যু হলেই তাকে কেটে শরীর থেকে কাঁচা মাংস চিবিয়ে খেতেন। বাকি মাংস রেখে দিতেন ফ্রিজে।

সে সময় জাকার্তার পুলিশের কাছে বেশ কিছু মানুষের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার খবর ধারাবাহিকভাবেই আসছিল। যাদের শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ওই তরুণীর বাড়িতে ঢুকতে। অবশেষে সন্দেহবশত পুলিশ হানা দেয় ওই তরুণীর বাড়িতে। তল্লাশি করতে গিয়ে ফ্রিজ খুলতেই উন্মোচিত হয় সত্য। দেখা যায়, ফ্রিজের তাক ভর্তি করে সাজানো রয়েছে নরমাংস।

তখন ২০১৩ সাল। ইন্দোনেশিয়ার একটি ওয়েবসাইটে খবরে প্রকাশ পায় এক তরুণীর কাহিনি। মানুষের মাংস খেয়ে পেট ভরানো যার ছিল অভ্যাস, নেশাও বলা যায়। দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় ওই খবর। কেঁপে উঠে গোটা দুনিয়া। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরটি পড়ে হাড় হিম হয়ে গিয়েছিল অনেকেরই।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, নিজের স্বামীকে পর্যন্ত খুন করে তার মাংস খেয়ে ফেলেছেন তরুণী। তার বাড়িতে যখন বন্ধুবান্ধবরা আসতেন, তখন ফ্রিজ থেকে অনেক সময়ে নরমাংস বার করে রান্না করে তাদের আপ্যায়ন করতেন তিনি। বন্ধুরা জানতেও পারতেন না যে, যে সু্স্বাদু মাংস তারা খাচ্ছেন, তা আসলে মানুষের মাংস। রান্নার ব্যাপারে সুনাম ছিল তরুণীর।

সেই ফ্রিজ

সেই অভিশপ্ত ফ্রিজ
পুলিশের কাছে তরুণী স্বীকার করেন, কমবেশি ৩০ জন তরুণীসহ আরও বেশ কয়েক জনকে হত্যা করে তাদের মাংস তিনি খেয়েছিলেন। পুলিশ গ্রেপ্তার করে তরুণীকে জেলে পাঠায়। কিন্তু মানুষের স্বভাব এত সহজে যাওয়ার নয়। প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কারাবাসের সময়ে এক নারী রক্ষীকে পর্যন্ত হত্যা করে তার মাংস খেয়ে ফেলেছিলেন তরুণী।

ইন্দোনেশিয়ান ওয়েবসাইটে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরে ঘটনাটির বীভৎসতা দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু পাঠকদের প্রাথমিক বিহ্বলতাটুকু থিতু হয়ে যাওয়ার পর থেকেই উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। সব থেকে বড় প্রশ্ন, তরুণীর নাম প্রকাশ করা হল না কেন খবরে? কেবল মাত্র একটি নিউজসাইটই এই হাড়-হিম করা ঘটনার হদিশ পেল কীভাবে?

সংবাদে দাবি করা হয়েছে, তরুণী থাকতেন জাকার্তায়। কিন্তু জাকার্তায় কর্মরত অন্যান্য অনেক সাংবাদিকই বিষয়টির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারা বলেন, যদি এমন ঘটনা ঘটেই থাকে, তা হলে তাদের কাছে নিশ্চয়ই খবর আসত। তা ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার কোন জেলে বন্দী রয়েছেন ওই তরুণী, কী শাস্তি দেয়া হয়েছে তাকে— এই সমস্ত প্রশ্নও উঠতে থাকে। খবরের সত্যতা নিয়ে এহেন বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখনই সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটটিও খবরের যাবতীয় দায় সাংবাদিকের উপর চাপিয়ে নিজেরা হাত ধুয়ে ফেলে।

বর্তমানে এই খবরকে ভুয়ো খবর বলেই মনে করেন অনেকে। অবশ্য খবরটির অসত্যতা নিয়েও কোনো নির্ভুল প্রমাণ নেই। ফলে আজও ইন্দোনেশিয়ার নরখাদক তরুণীর খবর ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ায়, মানুষজন শিউরে ওঠেন বীভৎসতার এই চরম দৃষ্টান্তের কথা জেনে।

সোনালীনিউজডটকম

Wordbridge School
Link copied!