আপস মীমাংসার চাপ বেড়েছে। দুই পরিবারই আপস করতে চাচ্ছেন। একইসঙ্গে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবং তার ‘সাবেক স্ত্রী’ নাসরিন সুলতানা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে নাসরিন জানান, সানির ইকোনমিক জোর অনেক। তাছাড়া নানান দিক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সানির মা রোববার এবং মঙ্গলবার একাধিকবার তার (নাসরিনের) মাকে ফোন করে মামলা তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন। এতে করে তার পরিবারও চাপ অনুভব করছে।
নাসরিন বলেন, আমার একজনের জন্য এখন সমস্ত পরিবার অনিরাপদ ও সমস্যায় আছে। তিনি বলেন, এখন কী করব বুঝতে পারছি না। তাদের বিষয়টা অনেকটা বিনা শর্তে মামলা তুলে নেওয়ার মতন। এতে করে আমার সব-ই যাবে, মামলাও উঠবে, আমিও কিছু পাবো না আর সমাজে আমি খারাপ হবো- আক্ষেপ করে বলেন নাসরিন।
এদিকে নিম্ন আদালত এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ক্রিকেটার সানির বিরেুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলাটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সানি তার নিজস্ব সেল ফোন নম্বর ব্যবহার করে নাসরিনের নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন।
সে আইডিতে নাসরিনের যেসব ছবি সেগুলোও সানির মোবাইল ফোন সেট থেকে তোলা। সে সব ছবি সানির কাছেই কেবল সংগৃহীত ছিল। যে সেল ফোন নম্বর থেকে আইডিটি খুলেছিল সেটি সানি নিয়মিত ব্যবহার করতো। সানি এবং নাসরিন দুজনেরই মোবাইল ফোনসেট জব্দ করেছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
এছাড়া আদালতে নাসরিনের পক্ষ থেকে দাখিল করা কাবিননামার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না কেন জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, দীর্ঘদিন বিয়ে করতে টালবাহানা করে সানি। অবশেষে যখন বিয়ে করতে রাজী হয় তখন সে বিয়ের আয়োজনে কেবল সানির কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার ছিল না। বিয়ে হওয়ার পর যখন বিয়ের দালিলিক প্রমাণ চাওয়া হয়, তখন সানি একটি কাবিননামা দেয়। সেই কাবিননামা ভুয়া না সত্য, তা যাছাই বাছাইয়ের সুযোগ তার ছিল না।
নাসরিন বলেন, কাবিননামা সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠার পর অনেকেই তাকে বলেছেন, এই কাবিননামা ভুয়া হয়ে থাকলে এ পরিপ্রেক্ষিতে সানির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করতে।
নাসরিন জানান, সানি গ্রেপ্তার হওয়ার আগের রাতেও তাদের দুজনের কথা হয়। সে সময়ও নাসরিনকে সানি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, দরকার হলে তিন মাস জেল খাটবে সে, যা ইচ্ছা তা করুক নাসরিন।
এই তরুণী আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, তাকে আমি সানি বলেই ডাকতাম, সে আমাকে আদর করে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করে মুন নামে ডাকতো।
নাসরিন সুলতানার করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে আইসিটি আইনের মামলায় রোববার (২২ জানুয়ারি) থেকে জেল খাটতে হচ্ছে। সানির আইনজীবী জুয়েল আহমদ বলেন, নাসরিন সুলতানের সমস্ত বক্তব্য ও অভিযোগ মিথ্যা। বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি
আপনার মতামত লিখুন :