• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন মুলুকে যে দামি বাড়ি আর কোথাও নেই


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭, ০৯:২৫ পিএম
মার্কিন মুলুকে যে দামি বাড়ি আর কোথাও নেই

ঢাকা: মার্কিন মুলুকে এর থেকে দামি বাড়ি আর নেই। শুধুমাত্র দামের নিরিখেই রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রির যাবতীয় রেকর্ড চুরমার করে দিয়েছে এটি। তবে বাড়ি না বলে অবশ্য একে রাজপ্রাসাদ বলাটাই ভাল। কী নেই তাতে! বিলাসিতার যাবতীয় উপাদান ঠাসা রয়েছে এতে।

ক্যালিফোর্নিয়ার এই বাড়ি কিনতে হলে ধনকুবের না হয়ে গতি নেই। শুধু কি বাড়ি, সঙ্গে দু’বছরের জন্য পাবেন শেফ-সহ সাত জন কর্মচারীও। কিন্তু, কেমন সে বাড়ির অন্দরমহল? আসুন তা দেখে নেওয়া যাক গ্যালারির পাতায়।

ক্যালিফোর্নিয়ার বেল এয়ারে ৩৮ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই প্রাসাদোপম বাড়ি। একটু ভেঙে বলা যাক। দর পড়বে ২৫ কোটি ডলার। হ্যাঁ! চোখ কপালে তোলা এই চারতলা বাড়ি কিনতে আপনাকে হতে হবে ধনকুবের। এর আগে ফ্লোরিডার সাড়ে ১৯ কোটি ডলারের ম্যানসনটিই ছিল মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে দামি বাড়ি। তবে সে রেকর্ড ভেঙে এখন এক নম্বরে উঠে এসেছে এই বাড়িটি।

চার বছর ধরে ৩০০ জন মিলে গড়ে তুলেছেন এই বা়ড়িটি। এ বার এর অন্দরে একটু উঁকিঝুঁকি দেওয়া যাক! ১২টা বেডরুম, ২১টা বাথরুম, তিনটে কিচেন, ছ’টা বার, একটা স্পা-সহ মাসাজ রুম, ফিটনেস সেন্টার, দু’টো ওয়াইন-শ্যাম্পেন সেলার নিয়ে বেশ ভাল মতোই দিন কাটাতে পারেন এতে। সেই সঙ্গে রয়েছে ৮৫ ফুটের একটি সুইমিং পুলও।

সুইমিং পুলের জলে গা ডুবিয়ে জায়ান্ট টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখে নিতে পারেন পছন্দের অনুষ্ঠানও। এর মূল কারিগর ধনপতি ব্রুস ম্যাকোউস্কি জানিয়েছেন, বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমস্ত স্বাদই উপভোগ করতে পারবেন এখানে।

ব্রুস বলেন, “বাড়িটি তৈরি করতে গিয়ে সমস্ত প্রচলিত ধ্যানধারণা ভেঙে ফেলতে চেয়েছি।” কী নেই এখানে? এর চত্বরে ঠাসা রয়েছে তিন কোটি ডলারের ১২টি গাড়ি। গ্যারাজ নয়, ভালবেসে একে অটো গ্যালারি নাম দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ৩০০ ফুটের মেগাইয়ট থেকে শুরু করে কোটি কোটি ডলারের শিল্পসামগ্রীও। বেল এয়ারের এই বাড়ির চারতলা জুড়েই কাচ, ক্রোম আর সাদা দেওয়ালের ছড়াছড়ি। ২০ লাখ ডলারের ঘোরানো সিঁড়ির পাশাপাশি রয়েছে বিরাট সাইজের এক লাইকা ক্যামেরার আদলে তৈরি শিল্পসৃষ্টিও। বোরড হচ্ছেন! তবে এর দোতলায় চলে আসুন। চার লেনের বোলিং লাউঞ্জে খানিকটা সময় কাটাতে পারেন।

কথা দিচ্ছি, দেওয়ালে সোনার বোলিং পিন দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। তাতেও মন না ভরলে ফুসবল টেবলে গা ঘামাতে পারেন। বা একটু পুল খেলে নিতে পারেন। অনেকক্ষণ খেলাধুলো করে ক্লান্ত লাগলে একটু ক্যান্ডি খেয়ে নিতে পারেন। দেওয়ালজোড়া প্রমাণ সাইজের স্টেনলেস স্টিল ও কাচের বয়ামে থরে থরে সাজানো ক্যান্ডি। যেটা খুশি মুখে পুড়ে নিন। খেলাধুলো বা ক্যান্ডি খাওয়া তো অনেক হল।

এ বার একটু টেলিভিশন দেখা যাক। ঘরের মধ্যেই রয়েছে ৩০ ফুটের বড়সড় টিভি স্ক্রিন। মার্কিন মুলুকে আর কোনও বাড়িতে নাকি এত বড় টিভি নেই। নরম সোফায় গা এলিয়ে তাতে চোখ রাখুন। নিজের পছন্দের সিনেমা দেখতে হলে চলে আসুন সবচেয়ে অত্যাধুনিক হোম থিয়েটারের সামনে। ২০ লাখ ডলারের জেমস বন্ডের থিমে সাজানো ঘর। ৪০টি ইতালীয় লেদার সোফায় বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ছড়িয়েছিটিয়ে আরাম করে বসে পড়ুন।

২২ ফুটের স্ক্রিনের পাশাপাশি এতে রয়েছে ৫৭টি স্পিকার ও ১৬টি সাব-উফারের সুবিধা। হোম থিয়েটারে রয়েছে ৭ হাজার প্রি-লোডেড সিনেমা। এর থেকে যে কোনও একটা সিনেমা বেছে তা দেখতে শুরু করতে পারেন। ব্রুস ম্যাকোউস্কি বলেন, “জীবনের অর্ধেকটা সময়ই আমরা বাড়িতেই কাটিয়ে দিই। ফলে বাড়িতে সময় কাটানোটা যেন চূড়ান্ত আরামের হয় সে দিকেই খেয়াল রাখা হয়েছে।”

শুধু বিলাসবহুল ফাঁকা বাড়ি নয়, এর সঙ্গে দু’বছরের জন্য পাবেন শেফ, ম্যাসিওর বা শোফার-সহ সাত জন কর্মচারী। অত্যাধুনিক ইন্ডোর বা আউটডোর কিচেন, ঝরনাও মিলবে এখানে। নিজের সৃষ্টিকে স্থাপত্যবিদ্যার অনন্য নজির বলে ব্যখ্যা দিয়েছেন ব্রুস ম্যাকোউস্কি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!