• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘মিথ্যা অভিযোগে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭, ০৮:৩৮ পিএম
‘মিথ্যা অভিযোগে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে’

ঢাকা: পদ্মা সেতু প্রকল্পে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কানাডার আদালতেও নাকচ হয়ে যাওয়ার পর এক বিবৃতিতে কিছু সংবাদপত্র ও ‘বিশিষ্ট’ ব্যক্তিকে দুষছেন ওই ঘটনায় মন্ত্রিত্ব হারানো সৈয়দ আবুল হোসেন।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে আবুল হোসেন বলেন, তিনি (বিশ্ব ব্যাংকের সে সময়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জেলিক) তখন আমাকে বলেছেন, আমি ‍বুঝতে পারছি, পদ্মা সেতু ও আপনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও বিশিষ্ট কতিপয় লোকের কথায় প্রভাবিত হয়েছেন। এজন্য আমি অনুতপ্ত।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে মিথ্যা অভিযোগে আমাকে, আমার পরিবারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। সরকারের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বিনা দোষে জেল খাটতে হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে আমাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। আমাকে জনগণের কাছে ছোট হতে হয়েছে। কানাডায় আমার জামাতার ব্যাংক হিসাব চেক করা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনসহ আমার সব ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করা হয়েছে।

আবুল হোসেন বলেন, যে সব মিডিয়ার মিথ্যা রিপোর্ট, অতিশয় বাড়াবাড়ি লেখা, কার্টুন প্রকাশ, সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লেখায় প্রভাবিত হয়ে বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করা হলো, আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলো, তাদের আজকের জবাব কী?
আমি জীবনে সৎ থেকে, ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেছি, জনগণের জন্য ব্যয় করেছি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পেতে কানাডীয় কোম্পানি এসএনসি-লাভালিন বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্র করেছিল অভিযোগ করে অর্থ আটকায় বিশ্ব ব্যাংক। পরে তাদের শর্তে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল, যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছিলেন আবুল হোসেন।

তার পরেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়ন করেনি বিশ্ব ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির সে সময়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জেলিক দায়িত্ব ছাড়ার আগে আগে ওই চুক্তি বাতিল করেছিলেন।

তবে এই প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে কানাডার আদালত বলেছে, এই মামলায় কোনো প্রমাণ হাজির করা হয়নি। প্রমাণ হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো  ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’।

বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত পূরণের জন্য বাংলাদেশে এ ঘটনায় দুদক মামলা করলে তাদের তদন্তে সহযোগিতার জন্য লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পোর নেতৃত্বে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলেন ঢাকায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!