• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়াঁদাদকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন আফ্রিদি


ক্রীড়া ডেস্ক  অক্টোবর ১৫, ২০১৬, ১০:৪২ এএম
মিয়াঁদাদকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন আফ্রিদি

শেষ পর্যন্ত জাভেদ মিয়াঁদাদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের যে অভিযোগ শহিদ আফ্রিদির প্রতি তুলেছিলেন পাকিস্তানের বড়ে মিয়াঁ, তার উপর্যুক্ত প্রমাণ চাওয়া হয়েছে সেই লিগ্যাল নোটিশে। না হয়, বলা হয়েছে মিয়াঁদাদ যেন তার অভিযোগ এবং বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, জাভেদ মিয়াঁদাদ যদি তার দাবির পক্ষে প্রমাণ হাজির করতে না পারেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে কে সঠিক, কে বেঠিক।

মোহাম্মদ নাঈম খান নামে ইসলামাবাদের এক আইনজীবী আফ্রিদির সঙ্গে কথা না বলেই জাভেদ মিয়াঁদাদের প্রতি এই নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। জাভেদ মিয়াঁদাদ আফ্রিদি সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি টাকার বিনিময়ে দেশকে (পাকিস্তানকে) বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তার অধিনায়কত্বের সময় পুরো দলই ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। আফ্রিদি একজন ম্যাচন ফিক্সার। জবাবে আফ্রিদি বলেছিলেন, জাভেদ মিয়াঁদাদ হলেন অর্থলোভি। তিনি অর্থ ছাড়া আর কোন কিছুই বোঝেন না।

আফ্রিদির এমন মন্তব্য সত্ত্বেও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান মিয়াঁদাদ। তিনি এও বলেছিলেন, আফ্রিদির এক বছর মেন্টর ছিলাম আমি। সে আমার ছোট ভাইয়ের মত। আমি তার ভালোই কামনা করি। মিয়াঁদাদের বক্তব্য শুনে আফ্রিদি এরপর বলেছিলেন, ‘তিনি আমার বড় ভাইয়ের মত। তাকে আমি খুব সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি। আমার বক্তব্যে তিনি খুব দুঃখ পেয়েছেন। তবে আমাকে ক্ষমাও করে দিয়েছেন। এতে আমি খুশি। তবে, তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের যে অভিযোগ আমার প্রতি এনেছেন, আমি চাই সেই অভিযোগ এবং বক্তব্য তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন। না হয় আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কারণ, এটা এমন এক অভিযোগ, যা পরিবার, বন্ধু এবং দেশের সামনে আমার সম্মান এবং সুখ্যাতি সব ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে।’

আফ্রিদির আহ্বান সত্ত্বেও বক্তব্য প্রত্যাহারের কোন ঘোষণা দেননি জাভেদ মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের জিও নিউজ জানাচ্ছে, এ কারণে আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে আফ্রিদি তার আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। যেখানে কিভাবে নোটিশ পাঠানো হবে, কী জবাব চাওয়া হবে সে বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে এবং এরপরই নোটিশটি পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

কিন্তু তার আগেই ইসলামাবাদের একজন আইনজীবি, যিনি আফ্রিদির সঙ্গে কোন কথা না বলেই জাভেদ মিয়াঁদাদের প্রতি নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। মোহাম্মদ নাঈম খান নামে ওই আইনজীবী উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকদের কথা চিন্তা করেই আমি এই নোটিশ পাঠিয়েছি। কারণ, মিয়াঁদাদের ওই বক্তব্যে আফ্রিদি ভক্তরাও বেশ আহত হয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!