• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ইউএসএআইডি

মিয়ানমারকে তাগিদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৮, ০৪:১৫ পিএম
মিয়ানমারকে তাগিদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা : রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্র তাগিদ দেবে বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) প্রশাসক মার্ক অ্যান্ডু গ্রিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি সেখানকার সমাজের বৈষম্য সমস্যা সমাধানের জন্য। যেটি সব সমস্যার মূল কারণ। আমি মিয়ানমারে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে তাদের বলব তারা যেন তাদের কাজটি করে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে ঢাকার গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে রোহিঙ্গা-বিষয়ক এক গোলটেবিলে তিনি এসব কথা বলেন।  

রোহিঙ্গা শিবিরে অভিজ্ঞতার বিষয়ে মার্ক অ্যান্ডু বলেন, আমি নতুন আসা কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে ভয়াবহ ঘটনার কথা শুনেছি। তারা সহিংসতার শিকার হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সঙ্কট মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

ইউএসএআইডি প্রশাসক বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন, রাখাইনসহ অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা বন্ধ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করাসহ অন্যান্য বিষয় মিয়ানমার সরকারকে করতে হবে।

তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ইতিহাস বিপদগ্রস্ত এসব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা মনে রাখবে। কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষই রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্কট নিয়ে জানতে ও শুনতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে আমি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করছি। সঙ্কট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের করণীয় নির্ধারণে আমার অভিজ্ঞতার কথা ওয়াশিংটনকে জানাব। কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পগুলো খাদ্য, সুরক্ষা, জরুরি আশ্রয়স্থল নির্মাণ, খাবার পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যখাতে উদ্বাস্তুদের সহায়তা দিয়ে আসছে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে বলে উল্লেখ করেন ইউএসএআইডির এই কর্মকর্তা।

বর্ষা মৌসুমে এই সঙ্কট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি এখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো বেশি মনোনিবেশ করার ওপর জোর দেন।

গ্রিন বলেন, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির শিকর গভীরভাবে প্রোথিত। এখন আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু সঙ্কট মোকাবেলায় কাজ করছি। বাংলাদেশ একসময় বহির্বিশ্ব থেকে খাদ্য সহায়তা নিত। আর আজ বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুর সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।  অ্যান্ড্র– গ্রিন গত ১৪ মে বাংলাদেশে আসেন। ১৫ মে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। গতকালই তিনি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!