• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিচারক অসুস্থ

মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের রায় পেছাল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ২৭, ২০১৮, ০২:০৮ পিএম
মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের রায় পেছাল

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবেদন তৈরির জের ধরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন পিছিয়েছেন মিয়ানমারের আদালত।

সোমবার (২৭ আগষ্ট) মিয়ানমারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বিচারকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মামলার রায় পেছানো হলো। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হবে।

সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ও (২৮) গত বছর পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে মামলা হয়। তার পর থেকে তাঁরা কারাগারেই আছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, আদালত চত্বর ছাড়ার সময় নিজেদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক ওয়া লোন বলেন, ‘তাঁরা (আদালত) আমাদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্তই নিক, আমরা ভীত নই।’

এর আগে ওয়া লোন জানান, তাঁদের প্রতিবেদন গণমাধ্যমের সমস্ত নৈতিকতা অনুসরণ করেই তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরা বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে সত্য কথাই বলার চেষ্টা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

গত বছর ২৪ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। এর পরদিন থেকে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। জাতিসংঘ জানায়, এ অভিযান রোহিঙ্গাদের চিরতরে দেশটি থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।

সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যার মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। বাস্তবে এই সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। রোহিঙ্গা মুসলমানের ওপর সহিংসতা ও সরকারি নিপীড়ন নিয়ে প্রতিবেদন করার পর গত বছর ওয়া লোন ও কিয়াও সোকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, চলতি বছরেই ওয়া লোন ও কিউ সোর নামে রয়টার্সে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও মিয়ানমার সেনাদের যোগসাজশে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনা বিস্তারিতভাবে উঠে আসে।

প্রতিবেদনটিতে নিহতদের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোর ঘটনার বর্ণনা তুলে আনতে ওয়া লোন ও কিয়াও সো মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার নেন। সঙ্গে জুড়ে দেন প্রয়োজনীয় ছবি। নিহত রোহিঙ্গাদের মধ্যে জেলে, দোকানদার ও কিশোর বয়সী ছাত্র ছিল বলে জানা যায়।

সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোকে আটক করার ঘটনায় মিয়ানমার সরকার ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চি আন্তর্জাতিকভাবে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ চিহ্নিত সেনা কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং মিয়ানমারের সরকারের প্রতি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!