মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নৃশংসতা প্রশ্নে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটের মত অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, গণহত্যা ও ধর্ষণের কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পথ সুগম হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে থেকে ওই মন্তব্য প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন একে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। এটা জাতিগত নিধনযজ্ঞ।  

টিলারসন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘টার্গেটেড’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রচেষ্টা চালাবে। রেক্স টিলারসন বর্তমান সংকট সূত্রপাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা মিলিশিয়াদের হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, কোনো উসকানিই এই লোমহর্ষক নৃশংসতাকে যৌক্তিকতা দিতে পারে না।

এ বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করে মিয়ানমার। এ অভিযানের পর ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা মিলিয়ে বর্তমানে দশ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ এনেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলছে, রোহিঙ্গারা মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখেও মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই প্রভাবশালী সদস্য চীন ও রাশিয়া।

সোনালীনিউজ/আতা