• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মীর কাসেমের ফাঁসিতে আধাবেলা হরতাল জামায়াতের


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬, ১২:২৪ এএম
মীর কাসেমের ফাঁসিতে আধাবেলা হরতাল জামায়াতের

আইনি লড়াই নিষ্পত্তি শেষে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার প্রতিবাদে আধাবেলা হরতালের কর্মসূচি দিয়েছে তার দল জামায়াতে ইসলামী। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ অর্থাৎ মজলিসে শূরার সদস‌্য মীর কাসেমকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর জামায়াতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দুই দিনের কর্মসূচির ঘোষণা আসে, যার মধ্যে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল রয়েছে।

এর আগে দলের শীর্ষনেতাদের মৃত‌্যুদণ্ড কার্যকরের পর পূর্ণ দিবস হরতাল ডাকতে দেখা গেছে দলটিকে। জামায়াতের প্রধান অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের জন্য দেশব্যাপী রোববার দোয়া পালনের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত। চার দশক আগে কাসেমের পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই আল বদর বাহিনী চট্টগ্রামে সংগঠিত হয়েছিল। বন্দর নগরীতে ডালিম হোটেল নামে নির্যাতন কেন্দ্র পরিচালনা করতেন তিনি।

ওই বাহিনী সে সময় যে হত‌্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তাতে মীর কাসেম নিজেও অংশ নিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় কাসেম দণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় পেতে পারেন না বলে রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি।

একাত্তরে ইসলামী ছাত্র সংঘের চট্টগ্রামের নেতা মীর কাসেম পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ইসলামী ছাত্র শিবির নামে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের পর মীর কাসেম কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন।  

বহু মানুষকে চট্টগ্রাম শহরের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেলে ধরে নিয়ে নির্যাতন; কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত‌্যা এবং স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও মৃত্যুর আগে তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করেননি ৬৪ বছর বয়সী কাসেম।

সব আইনি লড়াই ব্যর্থ হওয়ার পর শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান দণ্ডিত কাসেমকে শহীদ আখ‌্যায়িত করে বলেন, শহীদ কাসেম আলী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার যে ষড়যন্ত্র করছে, তারই অংশ হিসেবে জনাব মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুঁলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মীর কাসেম ‘ন্যায়বিচার’ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!