• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুখভরা হাসি নিয়ে আলু তুলছে চাষিরা


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মার্চ ৮, ২০১৮, ০৩:২১ পিএম
মুখভরা হাসি নিয়ে আলু তুলছে চাষিরা

মুন্সীগঞ্জ : জেলায় প্রধান অর্থকারী ফসল আলু। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন আলু উত্তোলনের চিত্র। আলুর ফলন বেশি হওয়ায় আশার আলো দেখছেন এবারের ৭৮ হাজার আলু চাষি। জেলাতে ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৬টি উপজেলায় ৩৮ হাজার ৮০০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়। আবাদ করা ওই জমিতে হেক্টর প্রতি ৩৮ টন আলু উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে এবার জেলায় ১৩ লাখ ৫৮ হাজার টন আলু উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বর্তমানে আশায় বুক বাধা চাষিদের মুখভরা হাসি নিয়ে আলু উত্তোলন শুরু।

সদরের চরাঞ্চল চরকেওয়ার ইউনিয়নের টরকী, ফুলতলা, গজারকান্দি, হোগলাকান্দি এবং মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে কৃষকের ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই আলু শ্রমিকরা আলু তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু উত্তোলনের জন্য উত্তরাঞ্চলের আলু শ্রমিকদের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে এই জেলাতে। গেল বছরে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ১২৯ টন আলু উৎপাদন হয়েছিল এবং এরমধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টন আলু বীজ হিসেবে সংরক্ষন করে কৃষকরা। আলু সংরক্ষণে জেলায় ৭৪টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে এবং এ সব কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সবে মাত্র ৫ লাখ টন। তাই এবার জেলায় উৎপাদিত ৮ লাখ টনের ওপর আলু সংরক্ষণ করা যাবে না।

আলু চাষি ইব্রাহীম বেপারী জানান, মার্চের শুরুতেই জেলা সদরসহ বাকি উপজেলাগুলোতেও আলু উত্তোলনের শুরু হয়। এ ছাড়া এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। বিগত দুই বছর লোকসানের মুখ দেখলেও এবার আলু চাষিরা আশায় বুক বেঁধে আছেন। ৩ শতাংশ জমিতে এবার আলু চাষাবাদ করেছি।

আলু চাষি রহমত হোসেন জানান, গেল দুই বছর মুন্সীগঞ্জে আলু চাষ করে বস্তা প্রতি ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা লোকসান হয়েছে তাদের। গেল দু’বছরও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা আলুতে ন্যায্য দাম পাননি। কৃষকরা আলু উৎপাদন করে লোকসানের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছিল। আবাদের শুরুতে বৃষ্টির কারণে সামান্য কিছু সমস্যা হলেও এবার আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গেল দু’বছরের লোকসান কাটিয়ে এবার আলু উৎপাদন করে তারা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, এবার মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এবার জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৮ হাজার ৮০০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। আবাদ করা ওই জমিতে হেক্টর প্রতি ৩৮ টন আলু উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে এবার জেলায় ১৩ লাখ ৫৮ হাজার টন আলু উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার মুন্সীগঞ্জ জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জমিতে এবার আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবার জেলায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!