ঢাকা : ৭৫ শতাংশ মানুষের মুখে দুর্গন্ধের কারণই হচ্ছে মুখগহ্বরের কারণে। মুখগহ্বর ছাড়াও পাকস্থলির রোগ, সাইনাস ইনফেকশন, মাঢ়ির ইনফেকশনের কারণে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মুখে দুর্গন্ধের হাত থেকে মুক্ত হতে গেলে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা। এরপর কারণগুলো নির্মূল করলেই পাওয়া যাবে সজীব, সতেজ নিঃশ্বাস।
কি কি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়
* বাহ্যিক কারণ : পেঁয়াজ, রসুন, কফিজাতীয় পানীয়, এলকোহল, ধূমপান
* দাঁত ও মুখগহ্বর সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা
* আলগা দাঁত : আলগা দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে এতে খাদ্যকণা জমে ডেন্টাল প্লাকের সৃষ্টি করে। তাই দুর্গন্ধ এড়াতে প্রতিদিন আলগা দাঁত পরিষ্কার করা উচিত
* টনসিলে সমস্যা : টনসিলের সমস্যার জন্য টনসিলের আশেপাশে খাবার জমে। ঠিকমতো পরিষ্কার করা যায় না বলেই সেখান থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে
* শ্বাসনালিতে ইনফেকশন : গলা, সাইনাস বা ফুসফুসে ইনফেকশন
* Xerbtomia : লালাগ্রন্থির সমস্যা, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মুখ হা করে শ্বাস নেওয়া, রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপির পর মুখ গহ্বর শুষ্ক হতে পারে
মুখে দুর্গন্ধ হলে কি করবেন ?
যদি খাবারের জন্য মুখে দুর্গন্ধ হয় তবে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আর যদি মুখের যত্বের অভাবে অথবা মাঢ়ির ইনফেকশনের কারণে দুর্গন্ধ হয় তবে অতিসত্ত্বর আপনার দন্ত্যচিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। তিনি চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত তা উপশম করতে পারবেন। যদি শ্বাসনালি ফুসফুসের জন্য হয়ে থাকে তবে আপনাকে নাক বা বিশেষজ্ঞ অথবা বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক মানুষেরই ওষুদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে মুখ গহ্বরে শুষ্কতা
এছাড়া আপনি প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ, ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করবেন। এরপর মাউথওয়াস দিয়ে নিয়মিত কুলকুচি করলে মুখে দুর্গন্ধ বেশ খানিকটা কমে যাবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :