• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন

মুখোমুখি এনসিটিবি ও সম্পাদক-সংকলক


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৮, ২০১৭, ০৮:২৯ পিএম
মুখোমুখি এনসিটিবি ও সম্পাদক-সংকলক

ঢাকা: ১ জানুয়ারী অনেক ঘটা করেই বই উৎসব পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেদিন নতুন বই হাতে পেয়ে অসম্ভব খুশিই হয়েছিলো কমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, বই হাতে পেয়ে পড়তে গিয়ে মন খরাপ হয়ে যায় তাদের। এর পরেই আলোচনায় আসে নতুন বই ও এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। কারণ, বইগুলো ভুলে ভরা। এ বই দ্বারা কমলমতি শিক্ষার্থীরা যেমন শিখবে ভুল। তেমনি ইতিহাস বিকৃত অনেক কিছু। কিছুদিন পর আলোচনায় উঠে আসে আরও একটি স্পর্শকাতর বিষয়। পাঠ্যবই গুলোতে অনেক কবিতা, প্রবন্ধ ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। যা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। 

এ বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্টদের কাউকেই ছাড়া হবে না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। এর পরেই মুখোমুখি হয়ে পরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও সম্পাদক ও সংকলকগণ। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কয়েকজন কর্মকর্তাকে ইতমধ্যেই ওএসডি করা হয়েছে। সেই সাথে তারা বলেছে সময় কম পাওয়ার জন্য বইয়ে ভুল হয়েছে।

এদিকে আজ বুধবার ১ম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়েরর ১৩ জন সম্পাদক ও সংকলক এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনে আমাদের কোন কিছুই জানানো হয়নি। এটা এনসিটিবি নিজেই করেছে। 

বিবৃতিদানকারী সম্পাদক ও সংকলকগণ হলেন মাসুদুজ্জামান, মাহবুবুল হক, রফিকউল্লাহ খান, নুরজাহান বেগম, শোয়াইব জিবরান, শ্যামলী আকবর, সৌমিত্র শেখর, নিরঞ্জন অধিকারী, বিশ্বজিৎ ঘোষ, সৈয়দ আজিজুল হক, হায়াৎ মাহমুদ, দানিউল হক ও শফিউল আলম।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পাঠ্য বইয়ে বিভিন্ন ভুল ও পাঠ পরিবর্তন নিয়ে যে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সংকলক ও সম্পাদকদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরী হতে পারে। এ সম্পর্কে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তন সম্পাদক-সংকলকদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে হয়েছে। পরিবর্তন সংযোজন বিষয়ে সংকলক-সম্পাদকদের কিছুই জানানো হয়নি।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বড় পদের কর্মকর্তারা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বদলিসহ সব কার্যক্রম দেখভাল করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!