• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে পদ্মার তীব্র স্রোতে দুই উপজেলার ১১০ ঘরবাড়ি বিলীন


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০১৭, ০৬:২৫ পিএম
মুন্সীগঞ্জে পদ্মার তীব্র স্রোতে দুই উপজেলার ১১০ ঘরবাড়ি বিলীন

মুন্সীগঞ্জ: পদ্মার তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে তিনদিনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টংগীবাড়ি উপজেলার নদী তীরবর্তী ২০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে শতাধিক বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিপদসীমার নিচে নদীর পানি অবস্থান করলেও পানি বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে আতংক। নদীর পাড়ের স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, স্থাপনা ভাঙনের আশংকায় রয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে গ্রামগুলো।

টংগীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বড়াইল, চৌসার, বাগবাড়ি, জুসিষার গ্রামের ৬০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বড়াইল গ্রামের মসজিদটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ৪টি গ্রামের মানুষ ভাঙন আতংকে নিরাপদ স্থানে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৭দিন ধরে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চৌষার গ্রামের হাসান হোসেন জানান, নিজেদের ৪টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে নিরাপদ স্থানে এসেছি। বড়াইল গ্রামে ৭ শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করে ধানক্ষেতসহ ফসলের জমিতে পানি ঢুকে গেছে। নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে গ্রামের মানুষ। সকাল থেকে পদ্মার স্রোত কম থাকলেও পানি বাড়েনি।

টংগিবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান, কামারখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থেকে ৬০ জনের একটি তালিকা পেয়েছি। এসব এলাকায় ত্রাণ এবং সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।

সোমবার লৌহজংয়ের পদ্মা তীরবর্তী খড়িয়া গ্রামের ২০টি ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এই গ্রামে বসবাস করে। নদী তীরবর্তী গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গাওদিয়া গ্রামের আসাদ হোসেন জানান, পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙন আতংক নিয়ে এই গ্রামের মানুষ অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রামের মানুষ আতংকে জীবন যাপন করছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার থেকে ত্রাণের টাকা এবং চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া গাওদিয়া এলাকার ভাঙনে জিও ব্যাগ এবং ব্লক পদ্মা নদীতে ফালানো হবে। জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেড়ে যায়। বিপদ সীমার নিচে পানি থাকলেও পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে গেছে।

জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, দুই উপজেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে বলে জানা গেছে। জরুরিভিত্তিতে ৭৫ মেট্রিক টন চাল এবং দেড় লাখ টাকা দেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠির দেয়া হয়েছে ভাঙন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!