• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে ৫ মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৪, ২০১৭, ০৭:০৫ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ৫ মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-মাদকসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে আসছে।

পুলিশের তথ্য মতে মামলার খাতওয়ারী হিসেবে জানা যায়, বিগত ৫ মাসে মাদক মামলা হয়েছে ৪৭১টি, অস্ত্র মামলা ১৫টি, নারী নির্যাতন ৪২টি, খুন ২০টি, ধর্ষণ ১০টি, ডাকাতি ৫টি, চোরাচালান ১টি, সিধেল চুরি ৩টি, অপহরণ ২টি, শিশু নির্যাতন ১টি, দ্রুতবিচার ৪টি, দস্যূতা ১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি, চুরি ১৩টি, অন্যান্য খাতে ২২০টি মামলা হয়েছে জেলা বিভিন্ন থানায়। এই ক’দিনে জিআর সিআর সাজাসহ মোট ৮৮৪৮টি ওয়ারেন্ট মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

এদিকে জেলার সকল থানায় পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ৯টি বিদেশি পিস্তল ২টি বিদেশি রিভলভার ১টি রাইফেল ১টি বন্ধুক ২টি পাইপগান ১টি এয়ারগান গুলি ১৫৫ রাউন্ড ১৬ পিছ কার্তুজ ম্যাগাজিন ১৪পিছ গ্রেপ্তার ১৩ সহ অন্যান্য ২৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অপরদিকে জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে ২৩৮০৫ পিছ ইয়াবা ১০৮ কেজি গাজা ১৭০২ বোতল ফেন্সিডিল ২০২ গ্রাম ১৬৬ পুরিয়া হেরোইন ৩১৪ পিছ বিয়ার ক্যান ৬৩ লিটার চোলাইমদ বিদেশি মদ ৯ বোতল স্প্রিট ২৫ বোতল ওয়াইন ৩০ লিটার মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে।

অন্যদিকে বিশিষ্টজনরা মন্তব্য করে বলেন, এতসব অস্ত্র-মাদক উদ্ধার হলেও প্রকৃত আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আইনের কাছে ধরাছোয়ার বাইরে আছে সন্ত্রাসীরা। তারা উল্লেখ্য, করে কিছু না বললেও শহরের কিছু কিছু এলাকা আছে যে সব এলাকায় প্রতিনিয়ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে। এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র আছে বলে মন্তব্য করেন। কিছু কিছু এলাকায় পুলিশের সামনেও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঐসব এলাকায় সন্ত্রাসীদের জন্ম হয় বলে তারা জানায়।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব জানায়, আমার পুলিশ প্রশাসনের কর্মকান্ডে অত্যন্ত খুশি। বর্তমানের এসপি মহোদয় তার নেতৃত্বে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে। আমি ও এসপি মহোদয় মিলে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মাদক ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কমিটি ঘঠন করা হয়েছে আর ওই কমিটির প্রধান হচ্ছে একজন পুলিশ অফিসার। আমরা আছি তার সাথে সব সময়।

মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতি সভাপতি শ্রী অজয় চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান জেলা পুলিশ তাদের যে সকল কর্মকাণ্ড দেখিয়েছেন তাতে তার প্রশংসার দাবিদার। আইন সবার জন্য সমান। প্রকৃত আসামিদের ধরলেই জনসাধারণরা পুলিশের প্রতি আস্থা অর্জন করবে বলে আমার বিশ্বাস। সন্ত্রাসীরা যেন কোন মতেই দেশ ত্যাগ করতে পারে না। এদিকে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি রাখতে হবে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম (পিপিএম) বলেন, অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে আমাদের সাফল্য। কিন্তু প্রকৃত আসামিরা ধরা পরছে না। তারা গা ঠাকা দিয়েছে। তাদেরকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মুন্সীগঞ্জে কোন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হলেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত এবং তার নজির রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস জানান, শুনেছি অস্ত্র উদ্ধারের সাথে জড়িতরা দেশের বাহিরেও চলে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। তারা যে দলের হোক, ধরুন আমরা সহযোগীতা করব। অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের আওয়ামী লীগে জায়গা নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!