• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুমিনুল বাদ পড়ার কারণ জানালেন কোচ, নির্বাচক


ক্রীড়া প্রতিবেদক আগস্ট ১৯, ২০১৭, ০৫:৫৬ পিএম
মুমিনুল বাদ পড়ার কারণ জানালেন কোচ, নির্বাচক

ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটে এখনও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় মুমিনুল হকের। ২২ ম্যাচে ৪৬.৮৮ গড়ে ১ হাজার ৬৮৮ রান করা এই ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দলে জায়গা হয়নি কক্সবাজারের এই ক্রিকেটারের। কেন জায়গা মেলেনি ? তার ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

মিনহাজুল আবেদীন জানান, ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক নৈপুণ্য বিবেচনা করেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চূড়ান্ত টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই বিবেচনায় স্কোয়াডে জায়গা মেলেনি মুমিনুল হকের।

প্রধান নির্বাচক, ‘মুমিনুল যে আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেছে, তা নয়। তবে সে যেভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, সেভাবে খেলতে পারছে না। ওকে নিয়ে সামনে আমাদের অনেক চিন্তা-ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওকে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এমন নয় যে ওর ক্যারিয়ার আমরা এখানেই শেষ করে দিচ্ছি।’

চট্টগ্রামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে তামিমের দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করেছেন মুমিনুল হক। কিন্তু সেটি বিবেচনায় আনেন নি নির্বাচকরা। অথচ সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। একই প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকের দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১ রান করেছিলেন সৌম্য সরকার। তাকেই দলে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা।

এ প্রসঙ্গে নান্নুর জানান, ‘সাত টেস্ট খেলে চারটি ফিফটি করেছে সৌম্য। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ইমরুলের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। ইনজুরির কারণে কয়েকটি ম্যাচ মিস না করলে ওর অবস্থান আরও ভালো থাকত। গত কয়েকটি টেস্টে সৌম্য ভালো খেলেছে। এজন্য ইমরুলকে তিন নম্বরে খেলানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’

এদিকে বিসিবির নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য হাথুরুসিংহে মুমিনুল বাদ পড়ার কারণ জানিয়ে বলেছেন, গত এক বছরের বাজে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের কারণেই মিরপুর টেস্টের দলে জায়গা হয়নি মুমিনুলের।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, খেলোয়াড়ের চেয়েও দল বড়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সম্ভাব্য শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে বলেই দাবি করেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ১০টি টেস্ট খেলেছেন মুমিনুল। চারটি হাফ সেঞ্চুরিতে ১৭ ইনিংসে ২৮.৮২ গড়ে ৪৯০ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি নেই একটিও। সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছিলেন ২০১৫ সালের এপ্রিলে খুলনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আর টেস্ট অভিষেকের শুরু থেকে (২০১৩, ৮ মার্চ) ২০১৫ সালের এপ্রিলের আগে ১২ ম্যাচ খেলেছিলেন মুমিনুল। যেখানে ৬৩.০৫ গড়ে ১ হাজার ১৯৮ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরি চারটি, হাফ সেঞ্চুরি সাতটি। বিরতি নিয়ে হয়তো মুমিনুল আসলেই এখন আর ভাবেন না। কিন্তু এই বিরতি যে তার ব্যাটিংয়ের ছন্দ কেড়ে নিচ্ছে তা অনেকটাই দিবালোকের মতোই সত্য।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!