• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মুমিনের জন্য জান্নাতে যা প্রস্তুত


ধর্ম ডেস্ক নভেম্বর ১৯, ২০১৬, ০৫:২৭ পিএম
মুমিনের জন্য জান্নাতে যা প্রস্তুত

ঢাকা: জান্নাতে শত স্তর আছে আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে এত দূরত্ব আছে যতটা দূরত্ব আছে আকাশ ও যমিনের মাঝে। সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে শত স্তর আছে। প্রত্যেক স্তরের মাঝে দূরত্ব হল আকাশ ও যমীনের দূরত্বের সমান। আর ফেরদাউস তার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে আছে। আর সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহমান। এর উপরে রয়েছে আরশ।

আল্লাহ তাআলাকে যারা অন্তর থেকে ভয় করে তারা মুমিন বান্দা। মুমিন বান্দাদের ভয়ের কারণেই তারা জান্নাত লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। জান্নাতে তিনি মুমিন বান্দার জন্য অসংখ্য নিয়ামত রেখেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতের জন্য এ বিষয়ে খোশখবরি দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পক্ষান্তরে মুত্তাকি লোকেরা অবস্থান করবে বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে। এবং তাদেরকে বলা হবে যে, এতে তোমরা পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা সহকারে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে প্রবেশ কর। তাদের মনে যা কিছু সামান্য কপটতার ত্রুটি থাকবে, তা আমরা বের করে দেব। তারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে সামনা-সামনি আসনের ওপর বসবে। তারা সেখানে কোনো কষ্টের সম্মুখীন হবে না এবং সেখান থেকে তরা বহিষ্কৃতও হবে না। (সুরা হিজর : আয়াত ৪৫-৪৮)

হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতি লোকেরা জান্নাতের খাবার পাবে এবং সেখানকার পানীয় পান করবে। কিন্তু সেখানে তাদের পায়খানার প্রশ্ন ওঠবে না, তাদের নাকে ময়লা জমবে না এবং তারা পেশাবও করবে না।

ঢেকুরের মাধ্যমে তাদের খাদ্যবস্তু হজম হয়ে যাবে এবং তা থেকে কস্তুরির ন্যায় সুগন্ধি বেরিয়ে আসবে। তারা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের মতোই সুবহানাল্লাহ; আলহামদুলিল্লাহ; এ ধরনের সব তাসবিহ ও তাকবির উচ্চারণ করতে থাকবে। (মুসলিম)

জান্নাতি লোকদের জন্য আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘সেদিন বন্ধুবর্গ একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়। হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোনো ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে। তোমরা এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে জান্নাতের প্রবেশ কর। তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে। এই যে, জান্নাতের উত্তরাধিকারী তোমরা হয়েছ, এটা তোমাদের কর্মের ফল। তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।’ (সুরা যুখরূফ : আয়াত ৬৭-৭৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে- উদ্যানরাজি ও ঝর্ণাধরা পরিবেষ্টিত জায়গায়। তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমি কাপড়, মুখোমুখি হয়ে বসবে। এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে সুন্দরী রূপসী হরিণনয়না রমনীদেরকে তাদের স্ত্রী বানিয়ে দেব। সেখানে তারা পূর্ণ নিশ্চিন্তে সব ধরনের সুস্বাদু জিনিসগুলো পেতে থাকবে। তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।’ (সুরা দোখান : আয়াত ৫১-৫৮)

পরিশেষে...
কুরআন এবং হাদিসে উল্লেখিত নিয়ামতগুলো ওই সব বান্দার জন্য যারা আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি ভয় করে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনে এবং দুনিয়ার দায়িত্ব পালনে শুধুমাত্র তাকেই ভয় করার তাওফিক দান করুন। পরকালে তাঁর ঘোষিত জান্নাতের নিয়ামতসমূহ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!