• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিক-মোস্তাফিজকে ফিরিয়েও জয়ে ফেরেনি বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮, ০১:১০ এএম
মুশফিক-মোস্তাফিজকে ফিরিয়েও জয়ে ফেরেনি বাংলাদেশ

ঢাকা: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরে যাত্রা শুরু করেছিল লাল সবুজের বাংলাদেশ দল। এই জয়েই টুর্নামেন্টের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছিল টাইগারদের। যে কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক-মোস্তাফিজদের ছাড়াই মাঠে নেমে বিধ্বস্ত হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দুই তারকাকে ফিরিয়ে এনেও লাভ হয়নি। ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বেঙ্গল টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটে ৩৬.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। লক্ষ্য ছোট হলেও সতর্কভাবেই শুরু করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শিখর ধাওয়ান ৪৭ বলে ৪০ রানের একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত ফিরেন আম্বাতি রাইডুও।

এরপরই সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে রোহিত দলকে দ্রুত জয়ের দিকে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ভারতীয় অধিনায়ক খেলেছেন ১০৪ বলে ৮৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যাতে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মার রয়েছে। ধোনিও ৩৭ বলে ৩৩ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। মাশরাফি, সাকিব ও রুবেল একটি করে উইকেট নিয়েও ভারতের জয়ের পথে মোটেও বাধা হতে পারেননি।

এর আগে শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাইর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকেই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও বলেছিলেন, তারা যে করেই হোক চেয়েছিলেন প্রথমে ব্যাট করার। টস জিতে হোক কিংবা হেরে- বাংলাদেশ তো প্রথমেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে।

কিন্তু ভারতীয় পেস কিংবা স্পিন- কোনো বোলারকেই ভালো খেলতে পারলো না সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতেই ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে গেলো বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ১৫ রানের মাথায় ওপেনার লিটন দাসের (৭) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও (৭)।

আশা জাগিয়েও দ্রুত ফিরে যান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (১৭)। এরপর কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। তিনিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ৪৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এর আগে মোহাম্মদ মিঠুন ৯ রানে আউট হয়েছিলেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করছিলেন এই বিপর্যয় এড়াতে। কিন্তু তিনিও খুব একটা সফল হতে পারেননি, ৫১ বলে ২৫ রান করে আউট হন।

১০১ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত অষ্টম উইকেটে ৭৯ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। মাশরাফিকে ২৬ রানে থামিয়ে দিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন ভারতের ভুবেনশ্বর।

মাশরাফির বিদায়ের কিছুক্ষণ পর থামেন মিরাজও। ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫০ বলে ৪২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৫ বল বাকী থাকতে ১৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে রবিন্দ্র জাদেজা ২৯ রানে চারটি এবং ভুবনেশ্বর কুমার ৩২ ও জসপ্রিত বুমরাহ ৩৭ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়ে মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস নামান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!