• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিককে দেখে দারুন খুশি মুক্তামনি


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ২৩, ২০১৭, ০৭:৪৫ পিএম
মুশফিককে দেখে দারুন খুশি মুক্তামনি

ঢাকা: অন্যের ব্যথায় সমব্যথী হওয়া এবং পরের বিপদে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা একটি মহৎ গুণ। মহানবীর (সা.) বদান্যতা, পরোপকার, মানবসেবা ও সমাজকল্যাণে অবদানের অসংখ্য দৃষ্টান্ত ইতিহাস ও ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমাদের সমাজের অনেক বিত্তশালী মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পিছিয়ে নেই ক্রীড়াবিদরাও। জাতীয় দলের (টেস্ট) অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম অনেক আগে থেকেই নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। সম্প্রতি আরও একবার সেই নজির রাখলেন এই উইকেটকীপার ব্যাটসম্যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু মুক্তামনিকে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। শনিবার (২২ জুলাই)  দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার ১২ বছরের এই শশুকে দেখতে যান তিনি। এ সময় তিনি মুক্তামনির পাশে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। মুশফিক দেখে দারুন খুশি হন মুক্তামনি। পরে মুক্তামনির চিকিৎসা সহায়তায় এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন মুশফিক।

উল্লেখ্য, জন্মের দেড় বছর পর শিশু মুক্তামনির দেহে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটি বাড়তে থাকে। এরপর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও  চিকিৎসায়ও কোনো উন্নতি হয়নি। তার আক্রান্ত ডানহাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারি হয়ে উঠেছে।
 
সম্প্রতি মুক্তামনির এই বিরল রোগ নিয়ে সোনালীনিউজসহ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত ১১ জুলাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে বার্ন ইউনিটে ডা. সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধানে মুক্তামনির চিকিৎসা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

মুক্তামনি সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!