• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিকের ‘বিশেষ’ সমর্থন পেয়েছেন ইমরুল


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮, ০৩:১২ পিএম
মুশফিকের ‘বিশেষ’ সমর্থন পেয়েছেন ইমরুল

ঢাকা: খুলনায় চারদিনের ম্যাচ খেলছিলেন। পরদিন সকালে আবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নামার কথা ছিল ইমরুল কায়েসের। কিন্তু তিনি নামলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। লোয়ার অর্ডারে নেমে বাংলাদেশকে উদ্ধার করলেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে। নিজে খেললেন ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

অথচ তাঁর নামার কথা ছিল ওপেনিংয়ে। নামলেন লোয়ার অর্ডারে। দেশ থেকে গিয়ে ১২ ঘন্টাও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাননি ইমরুল। উপরন্তু সৌম্য সরকার-ইমরুলকে এভাবে দলে নেওয়ায় সমালোচনা হচ্ছিল। যদিও সংবাদমাধ্যমে ইমরুল-সৌম্যকে কোনও দোষ দেয়নি।

আলোচনা হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। ইমরুল যখন ব্যাট হাতে নামলেন তখন দলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। তারওপর দলের সেরা ব্যাটসম্যান তাঁর সঙ্গেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে গেলেন। চাপটা তাই দ্বিগুন হয়েছিল। কিন্তু ইমরুল একসঙ্গে যেন সব চ্যালেঞ্জ জয় করলেন।

এত গরমে খেলা সহজ ছিল না সেটা মানছেন তিনিও,‘ আমি ভাবিনি গরমটা এত হবে। খুলনাতে খেলছিলাম ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। এখানে তো প্রায় ৪২। অবশ্যই কঠিন কন্ডিশন। ব্যাটিংয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। যখন সেট হয়ে গিয়েছিলাম, তখন কষ্টটা আর কষ্ট লাগেনি।'

ইমরুল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সুযোগ পেলে সেটি কাজে লাগাবেন। এক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা। ইমরুল বলছেন,‘ জাতীয় দলে অনেক দিন ধরে খেললে আপনি একটা জিনিস মানিয়ে নিতে পারবেন। আমি কী পারি আর কী করতে পারি না, এটা বুঝতে পারা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমার ভেতরে এটাই কাজ করছিল। আমি অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। অনেক রকম অবস্থানে ব্যাটিং করেছি। সেদিন আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি যদি আজ অনেকগুলো ডট বল খেলেও শুরু করতে পারি, হয়তো পরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারব। এই ভাবনাটা সব সময় আমার মাথায় কাজ করছিল। হয়তো এ জন্যই সফল হতে পেরেছি।

বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপে আসার আগে মুশফিকের কাছে বিশেষ সহযোগিতা পেয়েছিলেন ইমরুল।

তিনি বলেন, আমাকে সবাই সমর্থন করেছে। বিশেষ করে মুশফিক আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। আসার পর থেকে তো বটেই, যখন দেশে ছিলাম, ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কী করলে ভালো হয় আমার জন্য। ও আমাকে ভালো ভালো অনেক পরামর্শ দিয়েছিল। সেটা আমার জন্য অনেক কাজে দিয়েছে। এখানে আসার পরও ও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমি পারফর্ম করার পরও আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে। এটা সতীর্থ হিসেবে অনেক বড় পাওয়া।


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!