• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুসলমানদের ঈদে ভিজিএফের চাল পেল হিন্দুরা!


ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংপুর জুন ১৮, ২০১৮, ০৭:২৬ পিএম
মুসলমানদের ঈদে ভিজিএফের চাল পেল হিন্দুরা!

রংপুর : পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে দুস্থ ও হতদরিদ্র মুসলিম পরিবারের জন্য বরাদ্দে থাকা বিশেষ ভিজিএফের চাল হিন্দুদের মাঝে বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার(১৫ জুন) সকালে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এ চাল বিতরণ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো তালিকা জুড়ে একটি মুসলিম পরিবারের নাম আসেনি। ফলে ওই এলাকার মুসলিম দুস্থ মানুষগুলো ফুঁসে উঠেছে। এতে করে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে ক্ষোভ আর বিষাদের আগুনে জ¦লছে ভিজিএফের চাল বঞ্চিত পরিবারগুলো।

কালীগঞ্জ উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ কেজি হারে সরকারী ভাবে বিশেষ ভিজিএফ বরাদ্ধ দেয়া হয়। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৭৬১টি পরিবারের মাঝে বিতরন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এর মধ্যে গোড়ল ইউনিয়নের ১৫৩৬ জন উপকার ভোগির মাঝে শুক্রবার সকাল থেকে এসব চাল বিতরন করা হচ্ছে।

মুসলিম দুস্থ পরিবারের অভিযোগ, এ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উপকারভোগি ৪১ জনের মধ্যে সবাই হিন্দু। ঈদের বিশেষ চাল হিন্দু পরিবারের মাঝে বিতরন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম। ওই ওয়ার্ডে অসংখ্য দুস্থ মুসলিম পরিবার থাকলেও কেউ এ বরাদ্দ পাননি।

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এই বরাদ্দ আসলেও তা হিন্দুদের মাঝে বিতরণ করায় ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে হতদরিদ্র মুসলিম পরিবারগুলোতে। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আর অভিযোগের রেষানলে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের পরিকল্পনা।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক গোড়ল ইউনিয়নের একজন স্কুল শিক্ষক জানান, বরাদ্ধ যাই আসুক। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম সবসময় এসব লোককে দিয়ে থাকেন। কারণ এসব হিন্দু তাকে ছাড়া কাউকে ভোট দেন না। তাই ঈদের বিশেষ ভিজিএফে এসব হিন্দুর নাম রয়েছে। পুরো ইউনিয়নে প্রায় চার শতাধিক হিন্দুর নাম তালিকা ভুক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, মাত্র দেড় থেকে দুইশত হিন্দু পরিবারের নাম রয়েছে। সরকারী চাল তাই হিন্দু মুসলিম সবাইকে দেয়া হয়েছে। এটা কোন অপরাধ নয়। প্রতি বছরই তিনি এমন ভাবেই ভিজিএফ বিতরন করেন। শুধু দূর্গাপুজায় ভিজিএফ দেয়া হয় মন্দিরে। কোন ব্যক্তিকে নয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান জানান, ভিজিএফ দুস্থ ও হতদরিদ্রেদর জন্য। তবে এটা যেহেতু ঈদের বিশেষ ভিজিএফ সেহেতু মুসলিম পরিবারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওয়ার কথা। তবে মুসলিমকে বঞ্চিত করে কেন হিন্দুদের দেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!