• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দিল নার্স!


চট্টগ্রাম ব্যুরো মে ২২, ২০১৮, ১০:০৭ পিএম
মৃত নবজাতককে ডাস্টবিনে ফেলে দিল নার্স!

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে নবজাতক চুরির রেশ কাটতে না কাটতেইে এবার বেসরকারি পিপলস হাসপাতাল ঘটেছে নবজাতকের মরদেহ তার পরিবারকে বুঝিয়ে না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনা। ওই হাসপাতালের এক নার্সের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টায় পিপলস হাসপাতালে যমজ সন্তান প্রসব করেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী আমেনা বেগম নামে এক নারী। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বকলিয়া থানাধীন চেয়ারম্যানঘাটা এলাকার মো. ফরিদের স্ত্রী।

ওই নবজাতকের পরিবারের দাবি, আমেনা বেগমের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। তারা দুজনই জীবিত ছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তাদের ছেলে সন্তান মৃত হয়েছে। কয়েকদিন আগের ঘটনার মত তাদের সন্তানকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এই ঘটনা জানাজানির পর আমেনার পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার দুপুর থেকে হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন। পরে স্থানীয় পাঁচলাইশ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের লোকজন ক্লিনিক্যাল বর্জ্যের গাড়ি থেকে মৃত শিশুটিকে অভিভাবকদের বুঝিয়ে দেন।

পিপলস হাসপাতালের এমডি সুভাস চন্দ্র সূত্রধর বলেন, আমেনা বেগম নামে এক নারী এক সঙ্গে একটি ছেলে ও আরেকটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। ছেলেটি মৃত জন্ম নেয়। অভিভাবকের অজ্ঞাতে হাসপাতালের এক নার্স মৃত নবজাতকটি ডাস্টবিনে ফেলে দেন। যদিও অস্ত্রোপচারের পর মৃত ছেলেটি আমেনার মা আয়েশা বেগমকে দেখানো হয়।

তিনি আরো বলেন, মৃত বাচ্চাটা প্রিম্যাচিউর ছিল। মায়ের পেটে মারা গিয়ে পচে গিয়েছিল। তবে পরিবার সিদ্ধান্ত ছাড়া নবজাতকটি ডাস্টবিনে ফেলা উচিৎ হয়নি। আমরা এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে আমেনার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রথমে মৃত বাচ্চা চাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও সহযোগিতাই করেননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকরা আসলে তারা বাচ্চা এনে দেবেন বলেন জানান।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!