• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত ভোটারের তথ্য সংশোধনে ইসির সম্মতি


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৭, ০২:৩৮ পিএম
মৃত ভোটারের তথ্য সংশোধনে ইসির সম্মতি

ঢাকা : ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পাশাপাশি এবার মৃত নাগরিকদের তথ্য সংশোধনেরও পথ খুলেছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান জানান, গত রোববার কমিশন সভায় এক মৃত নাগরিকের এনআইডির তথ্য সংশোধনের আবেদনে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটাররা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য নির্ধারিত ফি দিয়ে সংশোধন করতে পারেন। ভোটারের মৃত্যু হলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তথ্য ভাণ্ডারে তার তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

মোখলেসুর রহমান জানান, মৃত ভোটারের তথ্য আগে কখনও সংশোধন করা হয়নি। সম্প্রতি এক ব্যক্তি তার প্রয়াত বাবার এনআইডির তথ্য সংশোধনের জন্য কমিশনে আবেদন করেন। বাবার মৃত্যুর পর চাকরি নির্ধারিত সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য সার্ভিস বুক ও সার্টিফিকেট অনুসারে তার এনআইডির তথ্য ঠিক করার আবেদন করেছেন তিনি। এ অবস্থায় সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে যৌক্তিক কারণে ওই ব্যক্তির তথ্য সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ইসি। তবে কোনোভাবেই যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলেন অতিরিক্ত সচিব।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশের ১০ কোটি ১৭ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য জমা আছে ইসির তথ্য ভান্ডারে।এনআইডিতে বয়স কমিয়ে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, নাম সংশোধন করে উত্তারাধিকারের সুবিধা ভোগের জন্য একটি চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ রয়েছে ইসির কাছে। এক্ষেত্রে কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে এনআইডি সংশোধন করছে। মৃত ভোটারের তথ্য সংশোধনকে কেন্দ্র করে নতুন করে যাতে ঝামেলা পোহাতে না হয় সে বিষয়েও নজর রয়েছে বলে জানান তারা।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদ্জ্জুামান বলেন, ভোটারদের তথ্য সংশোধন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। নিয়মিতই হাজারো নাগরিক প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য আবেদন করছেন। ঢালাওভাবে মৃতদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ পেলে নতুন করে দুর্ভোগ বাড়বে। এক ব্যক্তির আবেদন গৃহীত হওয়ায় বিশেষ প্রয়োজনে অন্যরাও এ সুযোগ কাজে লাগতে পারবে। সার্বিক বিষয়ে আগামীতে হয়ত নতুন নির্দেশনা আসতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।

দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বার্ষিক মৃত্যুর হার বিবেচনায় সর্বশেষ হালনাগাদে ভোটার তালিকা থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ মৃত ব্যক্তির নাম বাদ যাওয়ার কথা। অথচ তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের জন্য পাওয়া যায় ৬ লাখ ৯১ হাজার ৬০৬ জন মৃত ব্যক্তির নাম। এ কারণে পরে মৃতদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজে মাঠ কর্মকর্তাদের জন্য সম্মানীও ঘোষণা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!