• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যু পথযাত্রী শিশু তাহমিনা বাঁচতে চায়


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৫, ২০১৭, ১০:১১ এএম
মৃত্যু পথযাত্রী শিশু তাহমিনা বাঁচতে চায়

হবিগঞ্জ: চোখের মধ্যে বিশাল টিউমার নিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী শিশু তাহমিনা বাঁচতে চায় (৬)। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে থমকে আছে তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন। যখন তার খেলাধুলা আর পড়ালেখা করার সময়, সে সময়ে অসহ্য যন্ত্রণা আর দুঃখ নিয়ে চলছে তাহমিনার জীবন।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামের নিখোঁজ পিতা বাচ্চু মিয়ার মেয়ে তাহমিনা। দরিদ্র মায়ের চার সন্তানের মধ্যে তাহমিনা তৃতীয়। লেখাপড়া করার প্রবল ইচ্ছে ছিল তার। স্কুলে ভর্তি হয়ে কিছুদিন যাওয়া-আসাও করেছে। কিন্তু তার সঙ্গে কোনো সহপাঠি না মেশার কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সে।

জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে নিখোঁজ হয় তাহমিনার পিতা বাচ্চু মিয়া। তার পর থেকে তার মা মারুফা বেগম চার ছেল-মেয়েকে নিয়ে পড়েন বিপাকে। দিনমজুরি ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে ছেলে-মেয়েরদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দেন। এর মধ্যে তাহমিনাকে নিয়ে পড়েছেন আরও বেকায়দায়।

তাহমিনার মা মারুফা বেগম জানান, জন্মের পর স্বাভাবিক ছিল তার মেয়ে তাহমিনা। প্রায় দুই বছর আগে শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে তার চোখে বড় ধরনের আঘাত পায়। পরে তাকে নিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে সামান্য চিকিৎসা করানো হয়। টাকার অভাবে পরবর্তীতে আর ভালো কোন চিকিৎসা করাতে পারেননি দরিদ্র মা।

ফলে এক পর্যায়ে তার চোখের মধ্যে ছোট একটি টিউমারের দেখা দেয়। দিন দিন বড় হতে থাকে এই টিউমারটি। বর্তমানে টিউমারটি তাহমিনার মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি তীল পরিমাণ চিকিৎসাও করাতে পারেননি।

তিনি বলেন, মেয়েকে বাঁচাতে হলে বড় হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করাতে হবে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে চার ছেলে মেয়ের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দেই। সামান্য ঔষধ খাওয়ানোর টাকাই নাই। কি করে বড় হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করাব।

তিনি আরও বলেন,  দেশের সবাই মিলে যদি কিছু সাহার্য করে আমার মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমার মেয়েটি নতুন জীবন পাবে।

শিশু তাহমিনা বলে, ‘আমি স্কুলে গেলে কেউ আমার সঙ্গে মিশতে চায় না। বন্ধুরা যখন খেলাধুলা করে আমি তখন তাকিয়ে দেখি, গ্রামের কেউ আমার সঙ্গে মিশতে চায় না। আমার খুব কষ্ট হয়, প্রচণ্ড ব্যথা করে। আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচান।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!