• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেঘনার ভাঙনে মনপুরার ৫ হাজার পরিবার উদ্বাস্তু


ভোলা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৫:৫১ পিএম
মেঘনার ভাঙনে মনপুরার ৫ হাজার পরিবার উদ্বাস্তু

মেঘনায় ঘরবাড়ি হারিয়ে নদীর পাড়ে বসবাস করছে এসব উদ্বাস্ত্ত পরিবার

ভোলা: বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের সংখ্যা। কেবল মেঘনার অব্যাহত ভাঙনেই গত এক দশকে ভিটেবাড়ি আর ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ভোলার মনপুরার ৫ হাজার পরিবার।

এসব পরিবার মাথা গোঁজার শেষ ঠিকানা হারিয়ে নিরাপদ আবাসনের আশায় অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছে শহরে। এদিকে এসব সর্বস্বহারা মানুষের নিরাপত্তার জন্য জরুরি পুনর্বাসনের দাবি জানান জন প্রতিনিধিরা।

মেঘনার ভাঙনে নিঃস্বদের মধ্যে মোহাম্মদ কাশেম একজন। এক সময় গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর সহায়-সম্পত্তি থাকলেও জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ঠাঁই হয়েছে মেঘনা পাড়ের ঝুপড়ি ঘরে। বৃদ্ধা স্ত্রী ফয়জুন্নেসাকে নিয়ে গত এক বছর ধরে মেঘনা পাড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে। নদী ভাঙন, ঢেউয়ের গর্জন কিছুতেই ভয় নেই এই বৃদ্ধ দম্পতির।

গত দুই দশকে ৩০ বার ভিটে বাড়ি হারিয়েছেন মোহাম্মদ কাশেম। কাশেমের মতো একই অবস্থা মনপুরা ভাঙন কবলিত পাঁচ সহস্রাধিক পরিবারের।

এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা নতুন চরে আবাস গড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আর নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে অনেকে পাড়ি জমিয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে। আর স্বজনদের নিয়ে বাঁধ ও রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

নদী ভাঙনের কারণে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে এদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ভোলা মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী।

আশ্রয়ের অভাবে অনেকে স্থানান্তরিত হচ্ছে উল্লেখ করে ভোলা মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

গত দুই বছরে মনপুরা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪টি মেঘনার ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৩ হাজার একর ফসলি জমিসহ ভিটে বাড়ি হারিয়েছে ২ হাজার পরিবার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!