• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘মেজর জিয়ার নির্দেশেই ব্লগারদের হত্যা’


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১২, ২০১৬, ০৩:৪৫ পিএম
‘মেজর জিয়ার নির্দেশেই ব্লগারদের হত্যা’

ঢাকা: দেশে এখন পর্যন্ত যত ব্লগার হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোই হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) নেতা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের নির্দেশে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান।

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার ঘটনায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

আদুল বাতেন বলেন, ব্লগার হত্যার প্রত্যেকটি ঘটনাই জিয়ার নির্দেশে হয়েছে। হত্যা-সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব সদস্যদের মধ্যে তিনিই ভাগ করে দিতেন।

মেজর জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার নেতা। তিনি ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানে প্ররোচনা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর থেকে তিনি পলাতক। পরে সেনাবাহিনী থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।

ডিবির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে খাইরুল ইসলাম (২৪) নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দীপন ও নিলয় হত্যার সঙ্গে জড়িত। এই খাইরুল কখনও জামিল, রিফাত, ফাহিম ও জিসান নামেও পরিচিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার চণ্ডীপুরে।

আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ‘বড় ভাই’ মেজর জিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমেই তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন।

২০১৪ সাল থেকে সংগঠনের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে আসছিলেন খাইরুল। তিনি ইন্টারনেটে নজরদারি করতেন। তথ্য বিশ্লেষণ করতেন। সম্ভাব্য টার্গেটের বিষয়ে বড় ভাইকে তথ্য জানাতেন।

এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে 'টার্গেট' ঠিক করতেন বড় ভাই মেজর জিয়া। পরে টার্গেটের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হতো। বড় ভাইকে তা জানানো হতো।

ডিবির দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল জানিয়েছেন, মেজর জিয়ার নির্দেশেই দীপন ও নিলয়কে হত্যা করা করা হয়।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর  ওই খুনের দায় স্বীকার করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম)।

একই বছরের ৭ আগস্ট রাজধানীর গোড়ানে নিজ বাসায় ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে এ হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!