ঢাকা: গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সার্চ কমিটির চোখে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে করা তিন মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে বিচারিক আদালতকে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত রশিদের আবেদনের পর শুনানি শেষে এ আদেশ আসে।
আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন, আওসাফুর রহমান বুলু। বাদীপক্ষে ছিলেন জামান আক্তার বুলবুল, তাকে সহযোগীতা করেন জয়নাল আবেদীন। কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তিনি চেয়ারম্যান।
পরে আইনজীবী জামান আক্তার বুলবুল জানান, ফ্লাট দেয়ার কথা বলে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কিংডম বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে সিএমএম আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন বসুধা বিল্ডার্সের এমডি আব্দুল জাব্বার খান।
তিন মামলার কার্য ক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টম্বর মামলার কার্যেক্রম স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর ওই রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এর বেঞ্চ।
এর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আজ চেম্বার আদালত তাতে নো অর্ডার দেন। ফলে হাইকোর্টের দেয়া রায়টি বহাল থাকে বলে জানান আইনজীবী বুলবুল।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বসুধা বিল্ডার্সের এমডি আব্দুল জাব্বার খান ২০০৮ সালে তিনটি ফ্লাট ক্রয়ের জন্য কিংডম বিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হলেও বার বার সময় নিয়ে বাদীপক্ষকে ফ্লাট বুঝিয়ে দেয়া হয়নি এমন অভিযোগ করে ২০১২ সালে সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।
এরপর সিএমএম আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য ধানমন্ডি থানায় পাঠায়। ধানমন্ডি থানা বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয় এই মর্মে যে, বাদীর অভিযোগ মোতাবেক তদন্ত করি যা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, বর্ণিত প্লট সমূহের মালিক মেজর (অব:) মোর্শেদুর রহমান ও কর্ণেল এমডি (অব:) মঞ্জুর কাদির।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মেজর রশিদের কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ তাদের প্লটে ফ্লাট নির্মান করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন মাত্র। তাহাদের মধ্যে কোন প্রকার লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয়নি। সার্বিক তদন্তে দেখা যায়, এ প্লটে কিংডম বিল্ডার্সের লিমিটেড কর্তৃক ওয়াটার কিংডম নামে আবাসিক ভবনের কোন অসিস্ত নাই। এ প্লটের জায়গাটি খালি অবস্থায় দেখা যায় বলে উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত- নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি ১ ফেব্রুয়ারি যে ৫জন বিশিষ্ট নাগরিককে মতামত দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ তাদের একজন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :