• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেলায় সিনেমার বই নিয়ে তিন তরুণ


বিনোদন প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭, ০২:২৬ পিএম
মেলায় সিনেমার বই নিয়ে তিন তরুণ

ঢাকা: জমে ওঠছে একুশে বইমেলা ২০১৭। প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বই। পছন্দের লেখকের বই কিনতে স্টলে স্টলে বাড়ছে মানুষের ভিঢ়। জমজমাট হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রতিদিনের প্রকাশনায় গল্প, কবিতা, উপন্যাস আর গদ্যের ছড়াছড়ি। বিষয়বৈচিত্রে ভরপুর প্রতিটি নতুন প্রকাশনা। কিন্তু এতোসবকিছুর মাঝেও খুবই অপ্রতুল সিনেমা সংক্রান্ত বই! হাজার হাজার নতুন প্রকাশনার ভিঢ়ে সিনেমা নিয়ে বই মোটের উপর পাওয়াই যায় না। কিন্তু চলতি বই মেলায় যেনো সেই অভাব কিছুটা পূরণ করতে সিনেমার বই নিয়ে উপস্থিত তিন তরুণ লেখক।

বিশ্বসিনেমা নিয়ে এখন সবাই বেশ চৌকস। বিশেষ করে ইন্টারনেটের কারণে তরুণদের মধ্যে বিশ্ব সিনেমা নিয়ে ঘটে গেছে এক মহা বিপ্লব। পৃথিবীর সব সিনেমা নিয়েই সবাই বেশ সচেতন এখন। সিনেমা দেখার পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী লেখা পড়তেও মুখিয়ে থাকে অনেকে। কিন্তু সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশে বই নেই বললেই চলে। সমসাময়িক বিশ্ব সিনেমা নিয়ে ব্লগ কিংবা অনলাইন পোর্টালে কিছু লেখা মাঝেমধ্যে দেখলেও দুই মলাটের ভেতরে পাওয়া যেনো দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠেছিল। বিশ্ব সিনেমা নিয়ে এমন খরারকালে চলতি একুশে বই মেলায় সিনে-বই নিয়ে এলেন তরুণ তিন সিনেমা চিন্তক সৈয়দ নাজমুস সাকিব,আরিফ মাহমুদ এবং আয়মান আসিব স্বাধীন। 

মেলার প্রথম দিন থেকেই ভাষাচিত্রের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে সৈয়দ নাজমুস সাকিবের বই ‘সিনেম্যান’। অন্যদিকে ‘চৈতন্য’ থেকে প্রকাশিত আরিফ মাহমুদের বইটির নাম ‘সিনে-লয়েড’। তবে আরিফ মাহমুদ বইটি লিখেছেন যৌথভাবে। তারসঙ্গে বেশকিছু বিষয় নিয়ে লিখেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন। তারা প্রত্যেকেই ফেসবুকে সিনে-গ্রুপগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। প্রায়শই বিশ্ব সিনেমার নতুন নতুন বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটান তারা। 

সিনেমার পোকা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই তরুণেরা তাদের প্রথম বইটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। এরইমধ্যে মেলার প্রথম দিন থেকে ভাষাচিত্রের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে নাজমুস সাকিবের বই ‘সিনেম্যান’। অন্যদিকে আরিফ মাহমুদ ও আয়মান আসিব স্বাধীনের ‘সিনে-লয়েড’ শিগগির পাওয়া যাবে ‘চৈতন্য’র স্টলে। 

নিজের প্রথম বই প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত নাজমুস সাকিব। তিনি এতোটাই আবেগাপ্লুত যে তার নাকি বিশ্বাসই হচ্ছে না মেলায় বই বের হয়েছে তার। সে অনুভূতি জানিয়ে নিজের প্রথম প্রকাশিত বই নিয়ে সাকিব বলেন, সত্যি কথা বলতে, আমার আসলে এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা যে বইমেলায় আমার একটি বই বের হয়েছে। আমার বারবার মনে হচ্ছে এটা একটা স্বপ্ন, একটু পরেই ভেঙে যাবে আর আমি ঘুম থেকে উঠে দেখব- সিনেম্যান বলে কিছু নেই। আমার বারবার মনে হচ্ছে, সৈয়দ নাজমুস সাকিব অন্য কোন একজন মানুষ, ভুলে তার সাথে আমার নাম মিলে যাওয়ায় সবাই এই বইকে আমার বই বলে ভুল করছে!

অন্যদিকে ‘সিনে-লয়েড’-এর প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত আরিফ মাহমুদ। বইটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিনেমার সামগ্রিক চিত্র তুলে আনার চেষ্টায় আমরা ভেবেছি বিশ্বব্যাপী সিনেমার কথা। নানা আঙ্গিক থেকে বৈচিত্র্য দেয়ার প্রয়াসে বাদ যায়নি উল্লেখযোগ্য সব জঁনরা’র সংযুক্তি। হরর থেকে সায়েন্স ফিকশন, রোমান্টিক ড্রামা থেকে থ্রিলার, স্পোর্টস ড্রামা থেকে মিস্ট্রি। সিনেমা নিয়ে পর্যালোচনা ও প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে মাথায় রেখেছি কাল্ট ক্ল্যাসিক সিনেমা থেকে হালের প্রশংসিত সিনেমাকেও।

সিনে-লয়েড বইটিতে কাদের কথা স্থান পেয়েছে জানতে চাইলে আরিফ মাহমুদ আরো বলেন, গভীর জীবনবোধের সিনেমা নিয়ে বইটিতে সত্যজিৎ যেমন আছেন, অন্ধকারময় বিষয়াদি নিয়ে আছেন বার্গম্যান। পরাবাস্তবতা ও কাব্যিকতা নিয়ে তারকোভস্কি, সহজাত ভায়োলেন্স নিয়ে ট্যারান্টিনো, মিষ্টি রোমান্টিকতা নিয়ে মণি রত্নম আর সহজ রসবোধের সিনেমা নিয়ে উডি অ্যালেন। আছেন আমেরিকান গ্রেট কুব্রিক, ইউরোপীয় আর্ট সিনেমার ব্রেসোঁ থেকে আমাদের আলমগীর কবির। আবার এসময়ের সৃজনশীল নির্মাতা ইনারিতু, অলিভিয়ের আসায়াসদের সিনেমাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। ছবি বাছাইয়ে, বিষয়বস্তু বিবেচনায় ‘সময় থেকে আধুনিক’ ছবির পাশাপাশি ‘সমসাময়িক’ চিন্তা-ভাবনাযুক্ত ছবিকেও প্রাধান্য দিয়েছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!